আফগানিস্তানের কাবুলে গতকাল বৃহস্পতিবার দায়িত্বপালনরত এক দেহরক্ষীর গুলিতে কান্দাহার প্রদেশের গভর্নর জালমাই ওয়েসা, প্রভাবশালী নিরাপত্তা কর্মকর্তা জেনারেল আব্দুল রাজিক ও স্থানীয় গোয়েন্দা প্রধান আব্দুল মমিন নিহত হয়েছেন। মার্কিন সেনা কর্মকর্তা জেনারেল অস্টিন স্কট মিলার অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন। তবে অপর দুইজন মার্কিন সেনা কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। তালিবান হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রদেশটি কার্যত নেতৃত্বশূন্য হয়ে পড়ল।
গভর্নর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর সংশ্লিষ্টরা সেখান থেকে বের হয়ে আসছিলেন। এমন সময় নিয়োজিত দেহরক্ষী গুলি চালানো শুরু করে। তালিবান তাদের বিবৃতিতে দাবি করেছে, তাদের লক্ষ্য ছিল মিলার ও রাজিক। তারা আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর এক সদস্যের ছবি সংবাদমাধ্যমের কাছে পাঠিয়ে দাবি করেছে, ছবির ওই অল্প বয়সী যুবকই হামলাকারী।
আগামীকাল আফগানিস্তানে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। একদিকে আফগান তালিবান নাগরিকদের ভোট দিতে না যাওয়ার বিষয়ে প্রচারণা চালাচ্ছে, অন্যদিকে স্কুল শিক্ষকদের নির্বাচনী কর্মকর্তা না হতে হুমকি দিচ্ছে। এমত অবস্থায় রাজিকের মৃত্যুতে আফগান সরকার অনেক বড় ধাক্কা খেল।
রাজিককে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনী আফগানিস্তানের সবচেয়ে বেশি আস্থা রাখার মতো নেতাদের একজন হিসেব দেখত। তার নেতৃত্বে কান্দাহারের পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছিল। তালিবানের বিরুদ্ধে ক্ষিপ্রতার সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া রাজিকের বিরুদ্ধে ২৪ বার হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত বছর কান্দাহারে আরব আমিরাতের পাঁচ কূটনীতিকের মৃত্যু হয়েছিল যে হামলায় সে ঘটনায়ও তিনি অল্পের জন্য রক্ষা পান। আফগান নিরাপত্তা বাহিনীতে তালিবানের অনুপ্রবেশের ঘটনা আগেও ঘটেছে। তবে এবারই প্রথম তাদের হাতে একসঙ্গে এতজন শীর্ষস্থানীয় নেতার মৃত্যু হল। সূত্র : আল-জাজিরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন