বিশ্বের সর্বাধিক জনসংখ্যার দেশ চীন। যথোপযুক্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকায় চীনা এই বিশাল জনগোষ্ঠীর কর্ম উপযোগী নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই যার যার কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ত থাকে। নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব উন্নয়নের ফলে চীনা জনগণের কর্মক্ষেত্রে যাতায়াত নিয়ে কখনো হুড়োহুড়ি করতে দেখা যায় না। কর্মক্ষেত্র থেকে যার যার আবাসিক এলাকা যথেষ্ট দূরে হওয়ার সত্তে¡ও গণপরিবহনের সহজপ্রাপ্যতা চীনাদের জীবনে এনে দিয়েছে এক অবিশ্বাস্য গতি। বিলাসবহুল এসব গণপরিবহনে সীমিত ভাড়া দিয়ে যে কেউ অনায়াসেই তাদের গন্তব্যে পাড়ি দিতে পারে। ফলে একজন নিন্ম আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে সবাই এই সুবিধা নিতে পারে।
চীনাদের গণপরিবহনের ভিতরে বাস এবং মেট্রোরেল (সাবওয়ে) উল্লেখযোগ্য। চীনের বেশ কিছু প্রদেশের ছোট-বড় অনেক শহরে আমার ঘোরার সুযোগ হয়েছে। সব জায়গায় এদের বাস সার্ভিস আমাকে অনেক বেশি আকর্ষণ করেছে। চীনের বাস সার্ভিস এককথায় অসাধারণ। বাসগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দুই দরজা বিশিষ্ট। তবে কোথাও কোথাও ছোট সাইজের এক দরজা বিশিষ্ট বাসও আছে। আবার জনাকীর্ণ শহরে বেশ বড় আকৃতির এবং দ্বিতল বাসও চলাচল করতে দেখেছি। সবগুলো বাসের একটা কমন বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, বাসগুলো খুবই দৃষ্টিনন্দন। অর্থাৎ চকচকে, ঝকঝকে এবং জানালার স্বচ্ছ কাচ দিয়ে বাইরের সবকিছু দৃশ্যমান। বাসগুলো এতটাই চকচকে যে কেউ দেখলে ভাববে এটা এইমাত্র রাস্তায় নামানো হয়েছে। এমনটা মনে হওয়ায় স্বাভাবিক। কেননা, প্রতিবার বাসগুলো তার নির্দিষ্ট রুটের রাউন্ড শেষে গ্যারেজে ঢুকলে সেখানে দায়িত্বরত ব্যক্তি ১-২ মিনিটের ভিতর বাসগুলোকে ধুয়ে মুছে একবারে পরিষ্কার করে দেয়। বাসগুলো সবই শীততাপ নিয়ন্ত্রিত এবং ভিতরে টিভি পর্দায় সার্বক্ষণিক বিভিন্ন ভিডিও চলে, যেটা যাত্রীদের মানসিক প্রশান্তি দেয় এবং প্রতিটা স্টপেজ আসার আগেই টিভি পর্দায় যাত্রীদের সতর্কতামূলক ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে করে যাত্রীরা সহজে তাদের গন্তব্য সম্পর্কে ধারণা পায়।
বাসের গায়ে কোন রকম পোস্টার বা চোখে লাগে এমন কোন কিছু কখনো দেখিনি। সব বাসই শুধুমাত্র একজন চালকের তত্ত্বাবধায়নে নির্দিষ্ট গন্তব্যে বিরতিহীনভাবে যাতায়াত করে। চালক ব্যতীত বাসে কোন অতিরিক্ত হেল্পার বা সাহায্যকারী না থাকায় কোন রকম চিল্লাপাল্লা শোনা যায় না। প্রতিটি বাসের সামনে এবং পিছনে ডিজিটাল নম্বর সম্বলিত এলইডি লাইট সার্বক্ষণিক নাম্বার প্লেট শো করে। নির্দিষ্ট স্টপেজ ছাড়া অন্য কোথাও বাস থামার কোন রেকর্ড এখানে নেই। তবে প্রতিটি স্টপেজে সব নম্বরের বাস থামে না। যে সকল বাস স্টপেজে থামবে, তাদের নম্বর উল্লেখ করে প্রতিটি স্টপেজে রাখা নির্দিষ্ট স্থানে লিখে রাখা আছে। সাথে ওই নির্দিষ্ট নম্বরগুলো বাসের সম্পূর্ণ রুট অর্থাৎ পরবর্তী কোন কোন স্টপেজ দিয়ে যাবে সেটাও পুরোটা লেখা থাকে। যাত্রীরা যার যার প্রয়োজন মতো বাস নম্বরের সাথে তাদের গন্তব্য মিলিয়ে তারপরে বাসে ওঠে। এতে করে কে কোথায় নামবে বা বাস কোন দিক দিয়ে যাবে সেটা অন্য কারও কাছে আলাদাভাবে জিজ্ঞাসা করার দরকার পড়ে না।
বাস ভাড়া নিয়ে কোন ঝামেলা নেই। কেননা প্রতিটা বাসে উঠলেই একটা নির্দিষ্ট ভাড়া পূর্ব থেকে নির্ধারণ করা। আমাদের শহরে যার পরিমাণ এক ইউয়ান অর্থাৎ ১৩ টাকার মতো। এই ১ ইউয়ান দিয়ে যাত্রীরা চাইলে ৫০-৬০ কি.মি. পথ অনায়াসে পাড়ি দিতে পারে। আবার পরবর্তী স্টপেজে নামতে চাইলেও একই ভাড়া গুনতে হয়। দুই দরজা বিশিষ্ট বাসগুলোর প্রথম দরজা যাত্রীদের ভিতরে ওঠার কাজে ব্যবহৃত হয়। দরজা দুইটি চালক তার নিজ আসনে বসে খোলা ও বন্ধ হওয়া নিয়ন্ত্রণ করে। প্রতিটা স্টপেজ আসলেই চালক সামনের এবং পিছনের দুই দরজাই খুলে দেয়। স্টপেজে অপেক্ষারত যাত্রীরা সামনের দরজা দিয়ে শৃঙ্খলিতভাবে একে একে বাসে ওঠে। পক্ষান্তরে, যে সকল যাত্রী তাদের গন্তব্যে পৌঁছে গেছে তারা সারিবদ্ধভাবে পিছনের দরজা দিয়ে নেমে যায়। যাত্রীরা ওঠার পথেই তারা তাদের ভাড়া মিটিয়ে বাসে প্রবেশ করে। বেশিরভাগ যাত্রীই প্রবেশ পথে মোবাইলে স্ক্যান করে বা ব্যাংক কার্ড পাঞ্চ করে বাসের ভাড়া মিটায়। তবে কেউ চাইলে সেখানে রাখা নির্দিষ্ট বক্সে নগদ টাকা রেখে বাসের ভাড়া পরিশোধ করতে পারে। চালক তার আসনে বসে শুধুমাত্র যাত্রীদের ওঠার পথে তারা সবাই ভাড়া মিটাচ্ছে কিনা সেটা এক পলক দেখে নেয়। এছাড়াও বাসে সেট করা ক্যামেরা যাত্রীদের সার্বক্ষণিক তদারকি করে। ফলে কেউ ভাড়া না দিয়ে বাসে ভ্রমণ করবে এমন মনোভাব পোষণ করে না। ভাড়া নির্ধারিত হওয়ায় যাত্রীদের সাথে কারো কোন লেনদেনের বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি করা লাগে না। গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য চালক ব্যতীত অন্য কোন অতিরিক্ত হেল্পার বাসে লাগে না। যাত্রীদের সাথে কারো কোন রকম বাকবিতন্ডায় জড়ানো লাগে না।
চীনাদের সবার ভিতর একটা কমন বৈশিষ্ট্য আমি খেয়াল করেছি। যেমন, বাসসহ যেকোন গণপরিবহনে ওঠার পরে কেউ সিটে বসার জন্য হুড়োহুড়ি করে না বরং সবাই দাঁড়িয়ে থাকতেই সাচ্ছন্দ্য বোধ করে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট উচ্চতা (১৩০ সেমি) পর্যন্ত সব গণপরিবহন ফ্রি। অর্থাৎ কোন ভাড়া লাগে না। ফ্রি হলেও কেউ বাচ্চা নিয়ে গাড়িতে ওঠার সাথে সাথে অন্য কেউ আসনে বসে থাকলে বাচ্চাদের বসার জন্য আসন ছেড়ে দিয়ে থাকে। এখানে ধনী, গরীব, দিনমজুর, উচ্চ র্যাঙ্কের ব্যক্তিবর্গ থেকে সকল স্তরের মানুষ বাসে উঠে তাদের গন্তব্যে যাতায়াত করার মনোভাব পোষণ করে। প্রতিটা বাসে কমপক্ষে ৪ থেকে ৫টা ক্যামেরা আছে যেগুলোর মাধ্যমে সমস্ত যাত্রীর ওঠানামা, ভাড়া পরিশোধ, চালকের সতর্কতা সার্বক্ষণিক কর্তৃপক্ষ তদারকি করে। একবার কোন চালক তার রুটে যাত্রা শুরু করে শুধুমাত্র নির্ধারিত স্টপেজ এবং ট্রাফিক সিগনাল ছাড়া অন্য কোথাও কালক্ষেপণের বিন্দুমাত্র চিহ্ন এদের মধ্যে দেখা যায় না। সবগুলো বাসে জিপিএস ব্যবস্থা চালু করা, তাই চালক ইচ্ছে করলেই একজায়গায় দাঁড়িয়ে সময়ক্ষেপণ করবে, সে সুযোগ নেই।
উপরে খুবই সংক্ষেপে চীনের গণপরিবহন সম্পর্কে সামান্য বর্ণনা দিলাম। আমাদের দেশের গণপরিবহনের চিত্র সবারই জানা। কেননা প্রতিদিনই সবাই এই বাস্তবতার সম্মুখীন হচ্ছে। তারপরেও আমার ব্যক্তিগত কিছু অভিজ্ঞতা খুবই সংক্ষেপে তুলে ধরলাম। সুদূর ঢাকা থেকে দূরপাল্লার পরিবহনে গ্রামের বাড়ি রওনা দিয়ে জেলা শহরে (প্রায় ২৫০ কি. মি.) পৌঁছেছি ছয় থেকে সাড়ে ছয় ঘণ্টায়। কিন্তু, জেলা শহর থেকে গ্রামের বাড়ি (প্রায় ২৯ কি.মি.) পৌঁছাতে সময় লেগেছে তিন ঘণ্টা। যেটা কচ্ছপের গতির ন্যায়। তবে এই তিন ঘণ্টার ভিতরে বাস চলেছে সব মিলিয়ে ৪৫ মিনিটের মতো। বাকি সময় ব্যয় হয়েছে চালকের ইচ্ছাকৃত কালক্ষেপণে। এই কালক্ষেপণ তারা হরহামেশাই করে যাচ্ছে শুধুমাত্র যাত্রীদের হয়রানির জন্য; সেইসাথে বাড়তি কিছু যাত্রী পাওয়ার লোভে। ফলে সাধারণ যাত্রীর ভোগান্তির সীমা মাঝে মধ্যে চরমে পৌঁছায়। যাত্রীদের বেশিরভাগই মন থেকে বিষয়গুলো মেনে নিয়েছে। ফলে নীরবে সহ্য করা ছাড়া কারও কোন প্রতিবাদ করতে এখন আর দেখা যায় না।
হিসাব করলে দেখা যায় জেলা শহরের সাথে থানা শহরের যোগাযোগের মাধ্যম এসব বাস প্রায় দুই ঘণ্টা সময় বাসের সকল যাত্রীর জীবন থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে নিয়ে নিচ্ছে। প্রতি বাসে যদি মোট ১০০ যাত্রী (সব পরিবহনে প্রয়োজনের অতিরিক্ত যাত্রী তুলে থাকে) থাকে তাহলে সর্বমোট অপচয় হচ্ছে ২০০ ঘণ্টা। যারা প্রতিদিন দূর দূরান্ত থেকে নিয়মিত বাসে অফিস করেন বা নিয়মিত জেলা শহরে আসা-যাওয়া করেন তাদের মাসে কত ঘণ্টা অপচয় হচ্ছে সেটা এই হিসাব থেকে সহজেই বের করা যায়। এটা সমগ্র দেশের চিত্র। রাজধানী বা বিভাগীয় শহরের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। বিভিন্ন কোম্পানির বাস চালকদের মধ্যে রেশারেশি, একই রুটে অন্য কোম্পানির বাসের চালকের মধ্যে রেশারেশি অহরহ আমাদের চোখে পড়ে। অধিক যাত্রী ওঠানো নিয়ে, বাড়তি ভাড়া আদায় নিয়ে, ইচ্ছাকৃত সময়ক্ষেপণ নিয়ে চালক ও হেল্পারদের সাথে চিল্লাপাল্লা নিত্যদিনের ঘটনা। নারী যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়েও আছে যথেষ্ট সংশয়। সবকিছু মিলিয়ে যারা নিয়মিত বাসে কর্মক্ষেত্র যাতায়াত করে তাদের জন্য এটি একটি প্রতিদিনকার যুদ্ধতে পরিণত হয়েছে।
তবে বাসের মালিকদের নির্ধারিত কিছু লোক আছে যাদের কাছে সময়ের মূল্য অনেক বেশি। আর্থিক মূল্যে যার মান প্রতি মিনিট ৫০ থেকে ১০০ টাকা। তারা প্রতিটি বাসের চালককে তাদের নির্ধারিত গ্যারেজ থেকে গন্তব্যে পৌঁছাতে সময় বেঁধে দেয়, যার একটু হেরফের হলেই চালককে দিতে হয় জরিমানা। কিন্তু তারা একটি বারও খোঁজ রাখে না পথিমধ্যে ওই চালক সমস্ত পথ গাড়িটা ইচ্ছেমত কালক্ষেপণ, মাঝেমধ্যে বেপরোয়া, মাঝেমধ্যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে গন্তব্যে ছুটে এসেছে। যেগুলো অনেক ক্ষেত্রে দুর্ঘটনার কারণ হয়েছে। তাদের গুরুদায়িত্ব ঘড়ির কাঁটার সাথে মিলিয়ে শুধুমাত্র জরিমানা নির্ধারণ করা। কিন্তু যাত্রীদের অভিযোগ শোনার মতো মালিক পক্ষের কোন ব্যবস্থা নেই। চালক ও তার সহকর্মীদের ইচ্ছাকৃত দুর্ব্যবহার, গালিগালাজ, বাড়তি ভাড়া আদায়সহ নানান অভিযোগ থাকে বাসের যাত্রীদের। কেননা, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাসের যাত্রীদের চালক বা চালকের সহকর্মীরা কেউই মানুষ হিসেবে গণ্য করে বলে মনে হয় না। শুধুমাত্র নিরূপায় হয়ে কিছুটা সাশ্রয়ী হওয়ায় একটু দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছানোর সম্ভাবনা নিয়ে জনগণ বাস সার্ভিসকে বেছে নেয়। কিন্তু পরিস্থিতি যে কতটা খারাপ সেটা শুধুমাত্র ভুক্তভোগী যাত্রীরাই জানে।
কিছু বিষয় এসকল কারণের জন্য দায়ী বলে মনে হয়। যেমন, আমাদের দেশের বেশিরভাগ গণপরিবহন ব্যক্তিমালিকানাধীন। যেগুলো মালিক সমিতির তত্ত্বাবধায়নে চলাচল করে। পরিবহনগুলোর দায়িত্বে নিয়োজিত চালক ও তাদের সাহায্যকারীরা নামেমাত্র বেতন পায়। যে বেতনে তাদের নিজের খরচ যোগানোর পাশাপাশি নিত্যদিনের সংসার ভরণপোষণে হিমশিম খেতে হয়। এর ফলে সামান্য কিছু বেশি রোজগারের আশায় তারা বেছে নেয় অন্য পরিবহনের সাথে রেশারেশি। ইচ্ছাকৃতভাবে সময় নষ্ট করে পরবর্তীতে ধারণ ক্ষমতার অধিক যাত্রী নিয়ে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাতে পারলেই তাদের আয় অনেকাংশে বেড়ে যায়। এই পন্থা অবলম্বন করে অনেক চালক জীবনের ঝুঁকি নিয়েও ড্রাইভিং করে চলে। এতে করে মালিকপক্ষের ক্ষতি না হলেও ক্ষতি হয় জনসাধারণের। চালকের রেশারেশিতে বহু দুর্ঘটনা অহরহ আমাদের দেশে দেখা যায়। মাঝদিয়ে অনেকের অকালে পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হয়। মালিক পক্ষ যদি চালক ও তার সাহায্যকারীদের যথেষ্ট বেতনভুক্ত কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ দিত তাহলে এমনটা হওয়ার কথা ছিল না। যেমনটা দূরপাল্লার পরিবহনের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। কিন্তু মালিকপক্ষের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে বেশ উদাসীনতা লক্ষ করা যায়, ফলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। বিষয়গুলো নিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সামান্য সুনজর জনগণের নিত্যদিনের এই দুর্দশা একটু হলেও লাঘব হতে পারে।
কথায় আছে, যে জাতি সময়ে মূল্য বোঝে না তারা কখনো উন্নতি করতে পারে না। বাস চালকদের ইচ্ছাকৃত কালক্ষেপণের বিষয়টি একটি উদাহরণ মাত্র। এমন অনেক উদাহরণ আমাদের সামনে আছে যেগুলো সময়ের মূল্য সম্পর্কে আমরা কতটা অসচেতন সেটা ভালোভাবেই বুঝিয়ে দেয়। অতি প্রাচীন সমাজ ব্যবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে এই বিষয়গুলো পরিবর্তনের এখনি উপযুক্ত সময়। সাধারণ জনগণই যেকোন গণতান্ত্রিক দেশের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। তাদের জীবনযাত্রার মান নিয়ে, বিদ্যমান সার্বিক সুযোগ সুবিধা নিয়ে সরকারের নীতি নির্ধারকদের অধিকতর গুরুত্বের সাথে ভাবা উচিত।
লেখক: গবেষক, ফুজিয়ান এগ্রিকালচার এন্ড ফরেস্ট্রি ইউনিভার্সিটি, ফুজো, ফুজিয়ান, চীন।
ajoymondal325@yahoo.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন