শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

দুর্নীতির মামলায় বাউফলের আলোচিত শাহিন চেয়ারম্যানসহ ৬ জন কারাগারে

পটুয়াখালী জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৩ আগস্ট, ২০২১, ১২:০১ এএম

বিভিন্ন ঘটনায় আলোচিত পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ১০ টাকা কেজির চাল বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় তার সঙ্গে আরও পাঁচজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

অন্য আসামিরা হলেন- কনকদিয়া ইউপির সচিব মো. মজিবুর রহমান, সাবেক উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান, কনকদিয়া ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য মো. নিজাম উদ্দিন হাওলাদার, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য মো. আশরাফুল আলম ওরফে কামাল ও মেজবাহ উদ্দিন তালুকদার।
দুদকের মামলায় গতকাল পটুয়াখালীর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারসহ ছয় আসামি। আদালতের বিচারক রোখসানা পারভীন শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে ছয় আসামিকেই কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২২ ও ২৪ আগস্ট বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের ২৩৩ জন স্বচ্ছল ব্যক্তিকে হতদরিদ্র তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে ৩০ কেজি করে ৬ হাজার ৯৯০ কেজি চালের মূল্য বাবদ ২ লাখ ৫৯ হাজার ৩০৮ টাকা অনিয়মের মাধ্যমে বিতরণপূর্বক ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়ম করেছেন মর্মে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। পরবর্তীতে দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে সত্যতা পাওয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি বাউফল থানায় চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারকে ১নং আসামি, চাল বিতরণ কার্যক্রমের ট্যাগ অফিসার তৎকালীন বাউফলের উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইদুর রহমানকে ৩নংসহ ৬ জনকে আসামি করে বাউফল থানায় অভিযোগ পত্র দায়ের করেন তৎকালীন জেলা দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মানিক লাল দাস। ওই দিনই বাউফল থানা পুলিশ শাহিন হাওলাদার ও ট্যাগ অফিসার সাইদুর রহমানকে গ্রেফতার করেন। পরের দিন ২৯ তারিখ তারা আদালত থেকে জামিন পান।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন দুদকের পিপি কেবিএম আরিফুল হক টিটো, আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান টোটন ও অ্যাডভোকেট কমল দত্ত।
উল্লেখ, গত ২৫ জুন সালিস বৈঠকে এক কিশোরীকে জোরপূর্বক বিয়ে করে ব্যাপক সমালোচিত হন চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার। এর আগে তিনি সরকারি কর্মকর্তাকে মারধর করে ব্যাপক সমালোচিত হন। শাহিন হাওলাদার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি ওই ইউপি থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে পর পর দুই বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন