পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেন, কোভিডের কারণে অর্থনীতিতে আঘাত এসেছে এবং তা উত্তরণে সরকার যথাযথ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। তবে এটি সত্য যে আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এখানে দীর্ঘমেয়াদি লকডাউন বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। সরকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পেশাজীবী’সহ বিভিন্ন খাতে প্রণোদনা দিয়েছে।
বুধবার (২৫ আগষ্ট) চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার বিভিন্ন বিভাগীয় কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাছির উদ্দিন সারোয়ার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজী শরিফুল হাসান, সহকারী পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) ইয়াছির আরাফাত সহকারী কমিশনার (ভূমি) আফরোজা হাবিব শাপলা, মতলব উত্তর থানার ওসি মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল’সহ কর্মকর্তা ও ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দ।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি আমার কর্মজীবনে স্বচ্ছতার প্রমাণ দিতে পেরেছি। কোনো অবৈধ সুবিধা নিইনি। দেশটাই আমার কাছে বড়। স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ছিল বলেই আজ আমি এই জায়গায় আসতে পেরেছি। পরিকল্পনা কমিশনে আমার পুনর্জন্ম হয়েছে। এটি অপূর্ব পাওনা। দীর্ঘ ১২ বছর এই চত্বরে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রী আমার ওপর যে আস্থা ও বিশ্বাস রেখেছেন, তা যেন রক্ষা করতে পারি সেজন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে পরিকল্পনামন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করেই উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে চান একুশে পদক পাওয়া এই কৃষি অর্থনীতিবিদ।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম আরো বলেন, জিইডিতে দায়িত্ব নেওয়ার সময় কোনো পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ছিল না। বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের পরামর্শে সে সময় পিআরএসপি ছিল। হঠাৎ করে পরিকল্পনা থেকে বের হয়ে আসা তখন ছিল সংবিধানের লঙ্ঘন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর আবারও পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় ফিরে আসা হয়েছিল।
এ সময় তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ১৫ আগস্টের সকল শহীদ, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করেন।
অধ্যাপক ড. শামসুল আলম পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথমবার নিজ গ্রামে এসেছেন। নিজ বাড়ি ইসলামাবাদে পিতা-মাতা কবর জিয়ারত করেন। পরে উপজেলা ডাক বাংলো প্রাঙ্গণ গার্ড অব অর্নার শেষে আকাশী গাছের চারা রোপণ করেন।
মন্তব্য করুন