পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ড. শামসুল আলম বলেছেন, মহানবী (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি খুবই দুঃখজনক। এটা নিয়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে খুবই ব্যথিত। এ বিষয়ে দেশের আলেম ও মুসলিম সমাজ প্রতিবাদ গড়ে তুলেছে। কটূক্তিকারীদের বিচার হোক, এটা সবাই চায়। তবে এটাও মনে রাখতে হবে, যাতে প্রতিবাদ ও আন্দোলনের সুযোগে কোনো মহল উসকানিমূলক কিছু করতে না পারে। সেদিকে সবার নজর রাখতে হবে।
তিনি বলেন, কোনো শিশু যদি তার অভিভাবকের ভালো বন্ধু না হতে পারে, তবে ওই শিশু বিপথে যেতে পারে। তাই সবার আগে অভিভাবকদের উচিত শিশুদের সঙ্গে বন্ধুসুলভ আচরণ করে তাদের ভালো বন্ধু হওয়া। কেননা, অভিভাবকের মতো ভালো বন্ধু অন্য কেউ হতে পারে না। শনিবার (১১ জুন) চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার দুর্গাপুর জনকল্যাণ উচ্চবিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় উপলক্ষে বার্ষিক মিলাদ ও অভিভাবক সমাবেশ ২০২২-এর প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, মানসম্মত শিক্ষাই সরকারের প্রত্যাশা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে মানসম্মত শিক্ষার বিকল্প নেই। আমরা স্কুল-কলেজের পাশাপাশি মাদরাসাকেও সমান সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছি বলে তিনি বলেন, যাতে দেশের কোনো মানুষ অশিক্ষিত না থাকে। এতে সফলতাও আসছে। ধীরে ধীরে বাড়ছে সাক্ষরতার হার। কমছে নিরক্ষরতা। লেখাপড়া ছাড়া কোনো জাতি উন্নতি করতে পারে না। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষা খাতে ৯ হাজার ৪৯৫ কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। আগামী অর্থবছরে শিক্ষায় ৮১ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ৭১ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা। তিনি বলেন, দেশে খাদ্যপণ্যের দাম একটু বাড়লেও পর্যাপ্ত খাদ্য আছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এটা বৈশ্বিক সমস্যা। ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে। কোনো হতাশ হওয়ার কিছু নেই। সরকার কৃষকদের বীজ, সার কৃষি যন্ত্রপাতি ভর্তুকি দিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধি করেছে। সুতরাং আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে খাদ্যের সমস্যা হবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষ হাতে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছেন।
তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বর্তমানে মোবাইল ফোনের প্রতি ঝুঁকছে ছেলে-মেয়েরা। তবে অতিরিক্ত বা অপব্যবহার করা যাবে না। কাজের ক্ষেত্রে যতটুকু প্রয়োজন, ততটুকুই ব্যবহার করতে হবে। আর সব অভিভাবক আপনাদের ছেলে-মেয়েদের প্রতি খেয়াল রাখবেন, তারা যেন ঠিকমতো লেখাপড়া করে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরকার প্রচুর পরিমাণে উন্নয়ন করছেন। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আধুনিক ভবন করছে। আমিও মতলব উত্তরের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। সবাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নে সহযোগিতা করবেন। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন রুহুল। তিনি বলেন, শিক্ষার মান শতভাগ বৃদ্ধির জন্য অভিভাবক সমাবেশের প্রতি জোর দিতে হবে। প্রয়োজনে প্রতি মাসে করতে না পারলেও কমপক্ষে তিন মাস অন্তর অন্তর এ অভিভাবক সমাবেশ করা প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন জাতি গঠনের আধুনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আমরা সবাই নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
দুর্গাপুর জনকল্যাণ উচ্চবিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সিঙ্গাপুর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আল-আমীনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল হাসান, এএসপি মতলব সার্কেল ইয়াসির আরাফাত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন