সাতক্ষীরায় জেলা পরিষদের চেক জালিয়াতি মামলায় পত্রিকার বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি আমিনুর রশিদ সুজন (৪৫) কে জিঙ্গাসাবাদ করার জন্য দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার (০১ সেপ্টেম্বর) সাতক্ষীরা সিনিয়র চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোঃ হুমায়ুন কবীর এই আদেশ দেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইনস্পেক্টর মোঃ জহিরুল ইসলাম আসামীকে জিঙ্গাসাবাদ করার জন্য আদালতে সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
আসামী আমিনুর রশিদ সুজন সদর উপজেলার আলিপুর ইউনিয়নের বুলারআটি গ্রামের ডাঃ সৈয়দ আলমের ছেলে। গত ২৪ আগষ্ট মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাকে আটক করা হয়। পরদিন তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করে পুলিশ। আমিনুর রশিদ সুজন দৈনিক কালের কন্ঠ ও ডেইলি সানের সাতক্ষীরার বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইনস্পেক্টর মোঃ জহিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আগামীকাল বৃহস্পতিবার সুজনকে ডিবি কার্যালয়ে আনা হবে।
উল্লেখ্য, বহুল আলোচিত সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজোসে ২৩ জুলাই ২০২০ তারিখ সোনালী ব্যাংক সাতক্ষীরা শাখা হতে একটি চেকে ৬ লাখ টাকা উত্তোলন করেন জনৈক আশরাফ হোসেন নামের এক ব্যক্তি। এরপর ২৭ আগষ্ট ২০২০ তারিখ ৬ লাখ ১০ হাজার টাকা উত্তোলন করতে একই ব্যাংকে আসেন জনৈক ব্যক্তি। চেকের পাতায় প্রেরকের নাম লেখা রয়েছে আবুল হোসেন। এই ব্যক্তি চেক জমা দিলেও তিনি টাকা না নিয়ে ব্যাংক থেকে সটকে পড়েন। বিষয়টি নিয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ও জেলা পরিষদের একাধিক কর্মকর্তার মধ্যে আলোচনা হয়। এক পর্যায়ে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা খলিলুর রহমান বাদী হয়ে ২৯ আগষ্ট ২০২০ তারিখ সদর থানায় অজ্ঞাত আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, জেলা পরিষদের তিনটি চেক হারিয়ে বা চুরি হয়ে গেছে।
সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তার দায়েরকৃত মামলাটির তদন্ত আসে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) অফিসে। ব্যাংকের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এই মামলায় আমিনুর রশিদ সুজনকে সন্দেহজনকভাবে আটক করা হয়। এরপর ডিবি কার্যালয়ে জেলা পরিষদের কর্মকর্তা ও সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আমিনুর রশিদ সুজনকে সনাক্ত করার পর তাকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন