সাতক্ষীরা সদর থানা লকআপ থেকে শহরের পারকুকরালির হোমিও চিকিৎসক ডা. মোখলেছুর রহমান জনি নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় আদালতে দায়েরকৃত অপহরণ, হত্যা ও লাশ গুমের মামলার তদন্তভার পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত শাখায় (সিআইডি) দেয়া করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. হুমায়ুন কবীর আগামী ১৪ অক্টোবরের মধ্যে পুলিশের অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগের একজন সহকারী পুলিশ সুপার অথবা তার উর্দ্ধের পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে দিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় সাতক্ষীরা সদর থানার সাবেক দুই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদ শেখ, ফিরোজ হোসেন মোল্লা ও উপ-পরিদর্শক হিমেলকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগ ও ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৪ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টার দিকে অসুস্থ বাবার জন্য বাইসাইকেলে ওষুধ কিনতে গিয়ে সাতক্ষীরা শহরের লাবনী সিনেমা হলের সামনে থেকে সদর থানার উপ-পরিদর্শক হিমেল শহরের পারকুকরালির শেখ আব্দুর রাশেদের ছেলে হোমিও চিকিৎসক মোখলেছুর রহমান জনিকে ধরে নিয়ে যান। ঘটনার পরই জনির স্ত্রী জেসমনি নাহার রেশমা তার শ্বশুর ও স্বজনদের নিয়ে থানায় জনিকে খাবার দিয়েছেন ও তার সঙ্গে কথা বলেছেন। তখন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক শেখ ও উপ-পরিদর্শক হিমেলের সঙ্গে কথা বললে জনির জঙ্গি সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে জানানো হয়। পরে ওই বছরের ৮ আগস্ট থানায় গেলে জনিকে আর পাওয়া যায়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন