কুমিল্লার নানুয়ার দিঘিরপাড়ের অস্থায়ী পূজামন্ডপে ইকবাল কাদের ইন্ধনে পবিত্র কোরআন মাজিদ রেখেছে, ঘটনার দিন কাদের উস্কানিতে হামলা-ভাঙচুর ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, এর পর ইকবালকে কক্সবাজার যেতে কারা পরামর্শ দিয়েছেন এবং সামাজিক মাধ্যমে বিষয়টি ভাইরালে কাদের হাত রয়েছে এসব বিষয় ভালোভাবে খতিয়ে দেখছে এবং এসব সামনে রেখে ইকবাল হোসেনকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) স্পেশাল টিম।
বর্তমানে ইকবালসহ চারজনের সাতদিনের রিমান্ড চলছে। সিআইডি কুমিল্লার পুলিশ সুপার (এসপি) খান মোহাম্মদ রেজওয়ানের নেতৃত্বে ইকবাল, ৯৯৯ নম্বরে পুলিশকে ফোন করা রেজাউল ইসলাম ইকরাম ও দারোগাবাড়ি মাজারের দুই সহকারি খাদেম ফয়সাল ও হুমায়ুন কবির সানাউল্লাহর জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।এতে পুলিশ সুপারকে সহযোগিতা করছে সিআইডির একটি স্পেশাল টিম। জিজ্ঞাসাবাদে ইকবাল নতুন তথ্য দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
বুধবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে সিআইডি কুমিল্লার পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ রেজওয়ান বলেন,গত ২৪ অক্টোবর রাতে পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে মামলাটি তদন্তের স্বার্থে সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে এ মামলার সব ডকুমেন্ট আমাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। মামলায় ৮০ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। বিশেষ করে ইকবালের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের তথ্য আমাদের হাতে রয়েছে। তা যাচাই-বাচাই করে দেখা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, রিমান্ডে প্রতিদিনই আমরা নতুন নতুন তথ্য পাচ্ছি। সব তথ্য সমান গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে তদন্তের স্বার্থে সেসব তথ্য বলা যাচ্ছে না। তবে ইকবালের কাঁধে থাকা হনুমানের গদা উদ্ধারের পর তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট পাওয়া গেছে।
চারজনের রিমান্ড শেষে লিখিতভাবে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান সিআইডির পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ রেজওয়ান।
এদিকে গত শনিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিথিলা জাহান নিপার আদালতে ইকবালসহ চারজনকে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তাদের প্রত্যেকের সাতদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তার আগে গত ২১ অক্টোবর রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত এলাকার সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে ইকবালকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অন্যদিকে পূজামন্ডপ ভাঙচুরের ঘটনায় কুমিল্লার বিভিন্ন থানায় এ পর্যন্ত ১১টি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে কোতোয়ালি মডেল থানায় সাতটি, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় দুটি এবং দাউদকান্দি ও দেবিদ্বার থানায় একটি করে মামলা হয়েছে। এসব মামলায় বুধবার পর্যন্ত মোট ৭৭ জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন