নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সুরাইয়া আক্তার নামের এক গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় তার স্বামী জড়িত বলে স্থানীয়রা ধারণা করছে। গত বুধবার মধ্যে রাতে উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার কেন্দুয়া হালুয়ারটেক এলাকায় এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। নিহত সুরাইয়া আক্তার গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ থানার বাহাদুর সাদি এলাকার আলমগীর হোসেনের মেয়ে।
জানা গেছে, গত দুই বছর আগে সুরাইয়া আক্তারের সঙ্গে রূপগঞ্জ উপজেলার বিরাব এলাকার মৃত জালাল মিয়ার ছেলে অহিদ মিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তারা কেন্দুয়া হালুয়ারটেক এলাকার ভাড়া বাড়িতে বসবাস শুরু করে। সুরাইয়ার স্বামী অহিদ একজন মাদকসেবী। এছাড়া প্রায় সময়ই অহিদ তার মাদকাসক্ত সহযোগীদের দিয়ে সুরাইয়ার সঙ্গে অসামাজিক কাজ করানোর চেষ্টা করত। এতে সুরাইয়া সব সময় প্রতিবাদ করত। এ নিয়ে বেশ কয়েক বার তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে হাতাহাতি ও মারপিটের ঘটনাও ঘটে। গত বুধবার রাতে মাদক সেবনের টাকার জন্য স্বামী অহিদ তার স্ত্রী সুরাইয়া আক্তারকে চাপ প্রয়োগ করে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে মারধর করে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। পরে মধ্যে রাতে অহিদসহ তার কয়েকজন সহযোগী ঘরে প্রবেশ করে। স্বামীর সহযোগিতায় অন্যরা গৃহবধু সুরাইয়াকে ধর্ষণের পর হত্যা করে পালিয়ে গেছে ।
এ ব্যাপারে ভোলাব তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান জানান, রাতের যে কোন সময় এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। সকালে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠায়। লাশের গলায় ও শরীরের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এ ব্যপারে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, পলাতক অহিদকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তাকে গ্রেফতার করলেই সব রহস্য বেরিয়ে আসবে। এছাড়া ময়না তদন্তের প্রতিবেদন আসলে বিস্তারিত ঘটনা বলা যাবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন