বেগমগঞ্জ উপজেলায় প্রত্যয়নপত্র পেতে দেরি হওয়ায় গ্রাম আদালত ভাংচুর করে আদালত সহকারীকে পিটিয়েছে এক যুবলীগ নেতা। হামলার শিকার গ্রাম আদালত সহকারী নিজাম উদ্দিন মাহমুদ (৪০) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। খবর পেয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
অভিযুক্ত মো. রাসেল আলম আমান উল্যাহপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য ও একই ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের ঘরিয়া গাজী বাড়ির লকিয়ত হোসেনের ছেলে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার ১নং আমান উল্যাপুর ইউনিয়নের পরিষদ ভবনে এ ঘটনা ঘটে।
দুপুরে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে এমন অভিযোগ করেন আমান উল্যাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো.আরিফুর রহমান মাহমুদ। তিনি আরও জানান,গ্রাম আদালত সহকারী আমার কক্ষের সামনে বসে। গতকাল বুধবার দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন ঘরিয়া গাজী বাড়ির রাসেল কার্যালয়ে আসে একটি প্রত্যয়ন পত্রের জন্য। এ সময় আদালত সহকারী তাকে বলেন আমার হাতে একটু কাজ আছে, আমাকে একটু সময় দেন। এরপর আপনার প্রত্যয়ন পত্রটা দিয়ে দেব। একপর্যায়ে এটা নিয়ে দু’জনের মধ্যে বাকবিতন্ডা বেধে যায়। এ সময় আমি গিয়ে দু’পক্ষকে দুই দিকে সরিয়ে দিয়ে আমার ব্যক্তিগত কাজে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বাহিরে চলে যাই। আমি কিছুদূর যাওয়ার পর রাসেল তার অনুসারী মেহেদী ও রাজনসহ ৪জন যুবক পুনরায় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এসে আদালত সহকারীকে বেধড়ক মারধর করে এবং গ্রাম আদালতের এজলাস ভাংচুর করে। এ সময় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে সচিব ছাড়া কেউ ছিল না। এরপর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। একই দিন বিকেলে এসে তারা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
চেয়ারম্যান আরিফ বলেন, এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় আমরা থানায় এখনো কোন লিখিত অভিযোগ করিনি। আমরা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে আজ পরিষদের সভা ডেকেছি। এ সভা থেকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আমাদের করণীয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেব। এরপর তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
এ বিষয়ে জানতে বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভি না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন