গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। পানি হ্রাস পাওয়ায় ঘড় বাড়ি থেকে পানি সড়ে যাচ্ছে। তবে এখনও দূর্গম চরাঞ্চলের অনেক বসতবাড়ি হতে পানি নেমে যায়নি। বন্যার পানি কমতে শুরু করায় ব্যাপক আকারে নদী ভাঙ্গণ দেখা দিয়েছে। বন্যা ও ভাঙ্গনের ফলে ২ হাজার ৩শ ৮৫টি ঘড় বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হায়েছে। সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি ও সদর উপজেলায় ১হাজার ১শ ৫৬ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এর মধ্যে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের ৫শ ৫০ হক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। এর মধ্যে আমন ধান ৫শ ২০ হেক্টর এবং তালতরকারি ৩৫ হেক্টর। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাপ নিরুপন করা সম্ভব হয়নি। বন্যার পরবর্তী ফসলি জমি হতে পানি নেমে গেলে সঠিক ভাবে ক্ষক্ষতির পরিমাপ করা যাবে। চরাঞ্চলে বসবাসরত পরিবারগুলো এখনও নৌকা দিয়ে যাতায়াত করছে। বেলকা নবাবগঞ্জ চরের ফরমান আলী জানান, তার ২ বিঘা জমির আমন ধান বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এখনও জমি থেকে পানি নেমে যায়নি। হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম জিমি জানান, পানি কমতে শুরু করায় নদী ভাঙনের তীব্রতা দেখা দিয়েছে। অনেক ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার রাশিদুল কবির জানান, বন্যায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ৫শ ৫৫ হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। জেলা ত্রান ও দূর্যোগ অফিস জানিয়েছে বন্যায় ২হাজার ৩শ ৮৫টি ঘড়বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পানি উন্নয়ন নির্বাহী প্রকৌশলী জানিয়েছেন ভাঙ্গন ঠেকাতে জিও ব্যাগ দিয়ে জরুরী মেরামতের কাজ করা হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন