সারাদেশের তৃণমূলকে শক্তিশালী করতে উপজেলা ও পৌর কমিটি গঠন করছে জাতীয়তাবাদী যুবদল। এরই ধারাবাহিকতায় যে কোন সসময় ব্রাক্ষণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা ও পৌর যুবদলের কমিটি হওয়ার গুঞ্জন রয়েছে। বিশেষ করে ২৩ অক্টোবর ২০১৯ সালে নবীনগরে কেন্দ্রীয় যুবদলের সাংগঠনিক সভায় পুলিশের হামলা পরবর্তী মামলার কারণে সাধারণ মানুষের মাঝেও নবগঠিত যুবদলের কমিটি নিয়ে কৌতূহল দেখা গিয়েছে।
ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় যুবদলের সাংগঠনিক টিম দপ্তরে জমাকৃত কমিটিতে সর্বশেষ নবীনগর পৌর নির্বাচনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী হাজী শাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে ভূমিকা পালনকারী নেতৃবৃন্দকে গুরুত্বপূর্ণ পদে প্রস্তাব করার খবর পাওয়া গিয়েছে। নবীনগর পৌর নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে এডভোকেট শিব শংকর দাসকে নৌকা প্রতীককে সমর্থন দিয়ে স্থানীয় এমপি এবাদুল করিম বুলবুলের হাতে ফুল দিয়ে সমর্থন জানানো ফারুক আহমেদকে নবীনগর উপজেলা যুবদলে সদস্য সচিব পদে এবং বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী মো. মলাই মিয়ার জগ প্রতীকের পক্ষে ভূমিকা রাখা আসাদুজ্জামান দুলালকে নবীনগর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক পদে পদায়নের খবর রয়েছে। এছাড়াও নবীনগরে সর্বশেষ বিএনপির অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে ছাত্রদল থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে বিদ্রোহী প্রার্থী মো. মাইনুদ্দিনের মোবাইল প্রতীকের পক্ষে নির্বাচন করা হযরত আলী, আশরাফুল ইসলাম রুবেল ও রাকিবুল ইসলাম শাহিনের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসার খবর রয়েছে। এছাড়াও ঢাকা জজকোর্টে আইনজীবী হিসেবে কাজ করা এডভোকেট বোরহান উদ্দিনের নবীনগর উপজেলা যুবদলে গুরুত্বপূর্ণ পদে আসার সম্ভাবনা শুনে অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
নবীনগর পৌর নির্বাচনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী হাজী শাহাবুদ্দিন এই বিষয়ে বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে যারা দলের বিরুদ্ধে ভূমিকা রেখেছে। তাদেরকে নবীনগর উপজেলা যুবদলে পদায়ন করা হলে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে। ভবিষ্যতে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের প্রবণতা ঠেকানো যাবেনা। উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি মফিজুর রহমান মুকুলকে আহবায়ক ও আশরাফ হোসেন রাজুকে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট নবীনগর উপজেলা যুবদলের কমিটি গঠন করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন