চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে গতবছর ফেব্রুয়ারিতে ৮২ শিক্ষার্থীর পক্ষে নির্দেশনা দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওই আদেশের বিরুদ্ধে তখন আপিল করেছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সেই শুনানি অদ্যাবধি হয়নি। এ প্রেক্ষাপটে বিষয়টি প্রধান বিচারপতির দৃষ্টিতে আনেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। পরে আপিল বিভাগ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আবেদন শুনানির জন্য আগামীকাল মঙ্গলবার তারিখ ধার্য করেন।
উচ্চ মাধ্যমিকে মানোন্নয়ন পরীক্ষা দেয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় (এ, বি, সি ইউনিটে) মেধা তালিকায় স্থান পাওয়ার পরও ভর্তি প্রক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যাল কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে ৮২ জন শিক্ষার্থী পৃথক তিনটি রিট করেন। এছাড়াও ডি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়া একজন শিক্ষার্থী একটি রিট করেন। এসব রিটের শুনানি শেষে গত বছর ৯ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চ হাইকোর্ট চবি’র ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের তিন ইউনিটে মেধাতালিকায় স্থান পাওয়া ৮২ শিক্ষার্থীর ভর্তি সম্পন্নের নির্দেশ দেন। এছাড়া ডি ইউনিটে মানোন্নয়ন দেয়া ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ফলাফল প্রকাশ না করায় রিট পিটিশনের ফলাফল প্রকাশ ও সেই অনুযায়ী ভর্তির বিষয়টি বিবেচনা করতে বলা হয়। পরে ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আবেদনগুলো দীর্ঘদিন শুনানিতে না আসায় শিক্ষার্থীরা গতকাল রোববার ভার্চুয়ালি বিষয়টি আপিল বিভাগের দৃষ্টিতে আনেন। তারা বলেন, আমরা কোথাও ভর্তি হইনি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ও আমাদের ভর্তি নেয়নি। আমাদের শিক্ষাজীবন আটকে আছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন