শেষ হয়েছে পূজা চেরী অভিনীত সিনেমা ‘হৃদিতা’র শুটিং। সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে দুদিনে গানের শুটিংয়ে মাধ্যমে সিনেমাটির পুরোপুরি কাজ শেষ হয়েছে। হাওরের বুকে ভেসে, বিস্তীর্ণ জনপদে শুটিং করে পূজা চেরী বললেন, ‘অন্যরকম শান্তি লাগছে’। এমন নয়নাভিরাম লোকেশনে শুটিং করে পূজা চেরী ভাগ্যবান মনে করছেন নিজেকে।
পূজা চেরী বলেন, ‘গানটা যেমন সুন্দর লোকেশনটাও তেমন সুন্দর। অন্যান্য শুটিং শেষ হলে মনের মধ্যে কিছু না কিছু খচখচ করে। কিন্তু ‘হৃদিতা’র গানের মাধ্যমে শুটিং করে কী যে শান্তি পাচ্ছি বলে বোঝাতে পারবো না!’
তিনি আরো বলেন, ‘এমন সৌন্দর্যে কত দিন হারাইনি। এমন সুন্দর জায়গা দেখেই নিজের ভেতরে প্রশান্তি চলে এসেছে। গানের শুটিংয়ে এখানে এলেও মনে হচ্ছে পিকনিকে এসেছি। শুটিংয়ের ফাঁকে উপভোগ করেছি সময়টা, জায়গাটা।’
২০১৯-২০ অর্থ বছরে ৫৫ লাখ টাকা সরকারি অনুদান পাওয়া সিনেমাটির নাম ভূমিকা ‘হৃদিতা’ চরিত্রে অভিনেত্রী করছেন পূজা। খ্যাতিমান লেখক আনিসুল হকের হৃদিতা উপন্যাস থেকে সিনেমাটি নির্মাণ করছেন যুগল নির্মাতা ইস্পাহানী আরিফ জাহান। সিনেমাটিতে পূজার নায়ক এবিএম সুমন। আগেই বাকি অংশের কাজ শেষ। এবার শেষ হলো পুরো শুটিং।
পরিচালকদ্বয় বলেন, ‘আগে আমরা যখন নিয়মিত সিনেমা বানাতাম নান্দনিকতার চেয়ে বাণিজ্যিক বিষয়টি প্রাধান্য দিতাম। এখন সাধারণ সিনেমা হলে সেভাবে বাণিজ্য নেই। এজন্য চিন্তা করেছি বাণিজ্য না থাকলেও সরকার যেহেতু অর্থায়ন দিয়েছেন দর্শক প্রশংসা করবে এমন সিনেমা নির্মাণ করা উচিত। যে সিনেমা মাল্টিপ্লেক্সগুলোতে ভালো চলবে। পাশাপাশি দেশের বাইরেও চালাতে পারবো। তাই মান ভালো করার চেষ্টা করছি।’
পূজা আরো বলেন, ‘তাড়াহুড়ো করে শুটিং হয়নি। ধীরে ধীরে জেনে বুঝে পুরো কাজটি করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আনিসুল হক স্যারের গল্প, গুণী পরিচালক, সহশিল্পী সবমিলিয়ে খুব চমৎকার ভাবে আমরা ‘হৃদিতা’র শুটিং করলাম। কিছু কাজ থাকে করার সময় বোঝা যায় কেমন হবে। হৃদিতা করে তেমনই অনুভব করেছি।’
সুনামগঞ্জ থেকে ফিরেই পূজা চেরি আজ চলে যাবেন টাঙ্গাইলে। সেখানে শাকিব খানের বিপরীতে ‘গলুই’ নামে আরও একটি অনুদানের ছবির শুটিং করবেন। এটি পরিচালনা করবেন এস এ হক অলিক। নদীকেন্দ্রিক জনপদের মানুষের জীবনযাত্রা ও নৌকাবাইচের গল্পে নির্মিত হবে ‘গলুই’। সিনেমাটির প্রস্তুতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পূজা বলেন, ‘আমি নিজেও জানি না কীভাবে পেরেছি! নিজের ওজন বাড়িয়েছি। যে আমি ওজন ১ কেজি থেকে ২ কেজি বাড়লেই পাগল হয়ে যেতাম সে আমি ওজন বাড়িয়ে ফেলেছি ৪ থেকে ৫ কেজি। এই হচ্ছে প্রথম প্রস্তুতি।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন