সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য, তাদের পরিবার এবং বেসামরিক ব্যক্তিবর্গের নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন ও নতুন ভোটারদের মাঝে স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল সকালে রাজধানীর সেনামালঞ্চে এই স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হয়। সেনাবাহিনীর জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার লজিস্টিক এরিয়া মেজর জেনারেল মো. জহিরুল ইসলাম অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বশস্ত্র বাহিনীর তত্ত্বাবধানে ২০০৭ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রস্তুতের কাজ শুরু হয় এবং সরকার প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক নাগরিককে জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথমে লেমিনেটিং জাতীয় পরিচয়পত্র এবং পরে স্মার্টকার্ড দেওয়ার কার্যক্রম ২০১৫ সালে শুরু হয়। তারই ধারাবাহিকতায় নির্বাচন কমিশনের আইডিইএ প্রকল্প গত ২৯ আগস্ট ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনীর কর্মরত এবং অবসরপ্রাপ্ত অফিসার ও অন্যান্য পদবির সদস্যদের পরিবারবর্গ এবং বেসামরিক ব্যক্তিবর্গের নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যেকটি নাগরিকের আবেগের সঙ্গে এই স্মার্টকার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্র সম্পৃক্ত। আয়কর দাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) প্রাপ্তি, ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তি ও নবায়ন, পাসপোর্ট প্রাপ্তি ও নবায়ন, চাকরির জন্য আবেদন, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের রেজিস্ট্রেশনসহ বিভিন্ন কাজে স্মার্ট এনআইডি কার্ডের ব্যবহার রয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং অ্যাকসেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ) ২য় পর্যায় প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল কাশেম মো. ফজলুল কাদের, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কর্নেল মো. কামাল উদ্দিন। অনুষ্ঠানে মোট ৯২১ জন ভোটারের মাঝে স্মার্টকার্ড প্রদান করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন