মেজর (অব:) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার পঞ্চম দফায় সাক্ষ্য গ্রহণের দ্বিতীয় দিনে সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে। সোমবার (১১ অক্টোবর) সিনহার ময়নাতদন্ত কাজে সহায়তাকারী ২ জন ডোমসহ মোট ৫ জনের জবানবন্দী ও আসামীদের পক্ষে জেরা সম্পন্ন করা হয়েছে। কক্সবাজারের জেলা দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এর আদালতে এ সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা করা হয়। আদালত দিনের কার্যক্রমের পূর্বাহ্নে সাক্ষী ও জেরা সম্পন্ন করে।
সোমবার যাদের সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা করা হয়, তারা হলেন-কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গের ডোম আহমদ কবির মনু ও ধলা মিয়া, সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট মোঃ জিয়াউর রহমান, সার্জেন্ট আনিসুর ন। এনিয়ে সোমবার ১১ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ৩১ জন সাক্ষী এ মামলায় আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেছেন।
রাষ্ট্র পক্ষে মামলাটির আইনজীবী ও কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি (পাবলিক এডভোকেট ফরিদুল প্রসিকিউটর) এডভোকেট আলম, অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট মোজাফফর আহমদ হেলালী, এপিপি ও এডভোকেট জিয়া আহমদ সাক্ষীদের জবানবন্দী গ্রহণ করেন। এসময় বাদী শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস এর আইনজীবী এডভোকেট এডভোকেট সৈয়দুল ইসলাম, এডভোকেট মোহাম্মদ মোস্তফা,মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, এডভোকেট ফারহানা কবির চৌধুরী, এডভোকেট সুলতানা প্রমুখ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, আসামীদের পক্ষে আদালতে রানাদাশ গুপ্ত, এডভোকেট দিলীপ দাশ, এডভোকেট শামসুল আলম, এডভোকেট মমতাজ আহমদ (সাবেক পিপি) এডভোকেট মোহাম্মদ জাকারিয়া, এডভোকেট চন্দন এডভোকেট নুরুল হুদা, এডভোকেট ওসমান সরওয়ার শাহীন, এডভোকেট মোশাররফ হোসেন শিমুল, এডভোকেট ইফতেখার মাহমুদ প্রমুখ সাক্ষীদের জেরা করেন।
এডভোকেট ফরিদুল আলম জানান, ১২ অক্টোবর মঙ্গলবার পঞ্চম দফায় আরো ১ দিন সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে।
এদিকে, এ মামলায় এর আগে আরো মোট ২৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা সম্পন্ন করা হয়।
কক্সবাজার জেলা দায়রা জজ আদালতের সেরেস্তাদার এম. নুরুল কবির জানান, রোববার আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য মঙ্গলবার চার্জর্শীটের ৫০ ও ৫৯ নম্বর সাক্ষীকে সমন দেয়া হয়েছে।
সাক্ষ্য গ্রহণকালে মামলার ১৫ জন আসামীকেও কড়া নিরাপত্তায় আদালতে হাজির করা হয়। মামলায় কারাগার থেকে এনে আদালতে যে ১৫ জন আসামিকে হাজির করা হবে, তারা হলো- বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, রুবেল শৰ্মা, টেকনাফ থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া। কনস্টেবল সাগর দেব, এপিবিএনের এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ, পুলিশের মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নিজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন