বরগুনার মোটরসাইকেল স্ট্যান্ডগুলোতে চলছে চাঁদাবাজির মহোৎসব। প্রভাবশালী কতিপয় ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক ইঞ্জিন চালিত রিক্সা, অটোরিক্সা, টমটম, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন থেকে প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে প্রতিনিয়ত চাঁদা তুলে যাচ্ছেন। এতে পৌর টোল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ইজারাদাররা।
বরগুনায় পরিবহণ-সংশ্লিদের বাইরেও রয়েছে নানা ধরনের চাঁদাবাজ। সব মিলিয়ে চাঁদাবাজদের কাছেই যেন অঘোষিতভাবে লিজ দেওয়া হয়েছে বরগুনার সব সড়ক। দাপটের সঙ্গে চাঁদাবাজি চলছে বরগুনা প্রেসক্লাব এলাকায়।
চাঁদার জন্য তারা নানা অজুহাতে সড়ক, অলিগলি ও স্ট্যান্ডের যেখানে-সেখানে যানবাহন দাঁড় করিয়ে আদায় করা হচ্ছে অনির্ধারিত চাঁদা। চাঁদাবাজদের এহেন দৌরাত্ম্যের কারণে সরকে লেগে থাকে চরম যানজট। বরগুনা প্রেসক্লাব সংলগ্ন এলাকায় দূর দূরান্ত থেকে আসা অটো রিক্সা, রিক্সা, টমটম, বাইক, ইজিবাইক ইত্যাদি পৌঁছামাত্রই চাঁদাবাজ প্রতি ড্রাইভারের কাছ থেকে ১০ থেকে ৫০ টাকা করে নেন। এই টাকার বিপরীতে দেয়া হয়না কোন প্রকার রশিদ। বরগুনার বিভিন্ন উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রাম থেকে প্রতিদিন শত শত অটো রিক্সা, রিক্সা, টমটম, বাইক, ইজিবাইক মোটরসাইকেল প্রভৃতি বরগুনা শহরের বাজার সড়কে পৌঁছাতেই গুণতে হয় চাঁদা। স্ট্যানে নতুন গাড়ি অন্তর্ভুক্তি ফি নেয়া হচ্ছে ৩ থেকে ১০ হাজার টাকা। প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে চাঁদা তোলা হচ্ছে প্রতিদিন।
চাঁদা আদায়ের বিষয়টি জানতে চাইলে আদায়কারী মোহাম্মদ মনির সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য দায়িত্ব পালনকারীদের পারিশ্রমিক হিসেবে একাজ করা হচ্ছে।
বরগুনা প্রেসক্লাব এলাকায় গণপরিবহণকে ঘিরে রয়েছে চাঁদাবাজির বড় সিন্ডিকেট। অটো রিক্সা, রিক্সা, টমটম, বাইক, ইজিবাইক মোটরসাইকেল প্রভৃতি যানবাহন থেকে পৌরসভা কর্তৃক ইজারা আদায়ের কথা থাকলেও তা কার্যকর করতে দিচ্ছেনা চাঁদাবাজরা। এতে লোকসানে পড়ছেন ইজারাদাররা।
এবিষয়ে বরগুনা পৌরসভার মেয়র এডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজ বলেন, সড়কে কোন প্রকার চাঁদাবাজি বরদাশত করা হবেনা। বিষয়টা খতিয়ে দেখা হবে। এরকম চাঁদাবাজি ঘটনা ঘটে থাকলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন