ফুটপাত দখল করে বসেছে হকার। সেখানে চলছে ক্রেতা-বিক্রেতার জমজমাট ক্রয় বিক্রয়। সড়কে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে নেই পরিকল্পিত কোন উদ্যোগ। সড়কের একাংশ জুড়ে বাস, মিনিবাস, টেম্পু, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ নানা যানবাহনের দীর্ঘ সারি। সোফার গদি, বিছানার জাজিম, ফোম, প্লাস্টিকের পানির পাইপ, মোটর- কী নেই ফুটপাতজুড়ে! দেখে বোঝার উপায় নেই, এটি ফুটপাত নাকি ব্যবসাকেন্দ্র। হাঁটার জায়গাজুড়ে পণ্যসামগ্রীর পসরা সাজিয়ে রেখেছে ব্যবসায়ীরা। পথচারীরা ফুটপাতে জায়গা না পেয়ে রাস্তায় হাঁটবেন, সেখানেও একই অবস্থা। রাস্তা দখল করে নির্মাণ সামগ্রী, গাড়ি পার্কিং আর হকারদের ব্যবসা ও চায়ের দোকান। বিচিত্র সব জিনিস ঠেলে কিছুটা জায়গা করে নিয়ে কয়েকজন চলাচল করলে ও বেশির ভাগ পথচারী সড়ক দিয়েই হাঁটতে বাধ্য হন। সিটি কর্পোরেশন ও সরকারের প্রচেষ্টাতেও দখলমুক্ত হচ্ছে না। রাজধানীসহ অন্যান্য এলাকায়ও ফুটপাত দখলের চিত্র একই। দীর্ঘদিন ধরে ফুটপাত দখলে থাকায় পথচারীদের হাঁটার মতো কোনো পরিস্থিতি নেই। ফলে যানবাহন চলাচলে বিঘœ ঘটছে, সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। সেই সঙ্গে প্রতিনিয়ত পথচারীরা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। আসলে ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে টেকসই কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না বিধায় এ ভোগান্তি চলতেই থাকে। ফুটপাত দিয়ে হাঁটার সময় অনেক মানুষের ধাক্কা খেতে হয়। বিশেষ করে নারী পথচারীদের বিড়ম্বনার শিকার হতে হয় সব থেকে বেশি। ফার্মগেট এলাকায় এমনিতেই সরকারি-বেসরকারি বহু স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। রয়েছে বেশকিছু কোচিং সেন্টার ও মার্কেট। এসব কারণে ফুটপাত ও রাস্তাঘাট প্রতিদিনই মানুষে ভরপুর থাকে। তবে একটা জিনিস স্পষ্ট যে, ফুটপাতে হকাররা ব্যবসা করলেও এর নেপথ্যে শক্তিশালী সিন্ডিকেট রয়েছে। হকারদের জিম্মি করে এসব সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রতিদিনই আদায় করা হচ্ছে মোটা অঙ্কের চাঁদা। এর ফলে কোনোদিনও বন্ধ হচ্ছে না এই ভোগান্তির কাজটা। প্রতিদিন চলতেছে অবৈধ এই ব্যবসা কাজ। অনেক দোকানদারদের জিজ্ঞাসা করলে বলে, ‘টাকা দিয়ে দোকান বসাইছি, আবার প্রতিদিন চাঁদাও দিতে হয়।’ টেকসই ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়া কোনোভাবে এই উচ্ছেদ বন্ধ করা যাবে না। তাই টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে বৃহৎ স্বার্থে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
শিক্ষার্থী, ফেনী সরকারি কলেজ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন