কোম্পানীগঞ্জে এক যুবলীগ নেতাকে মারধর করে নিজ অনুসারীদের হাতে তুলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে। মারধরের শিকার আবুল কাসেম জাহাঙ্গীর (৪২) উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও আমির উদ্দিন পেয়ারদার বাড়ির মমিনুল হকের ছেলে এবং সে উপজেলা যুবলীগের সদস্য। শনিবার উপজেলার বসুরহাটের কাঁচা বাজারের জুবলি রোডে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর জানান, ছেলে মেয়ের লেখা পড়ার জন্য তিনি বসুরহাট পৌরসভা এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন। তিনি শারীরিক ভাবে খুবই অসুস্থ। বছর খানেক আগে শরীরে ওপেন হার্ট সার্জারি করা হয়েছে। এ ছাড়াও উচ্চ মাত্রার ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এক সময় আমরা কাদের মির্জার নেতৃত্বে রাজনীতি করেছি। বিবদমান পরিস্থিতিতে আমি কোন গ্রুপে নেই। সকালে আমি কাঁচা বাজারে সবজি কিনতে যায়। এ সময় কাদের মির্জাও ওই বাজারে আসেন। এক পর্যায়ে কাদের মির্জা আমাকে দেখতে পেয়ে তার প্রতিপক্ষ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আজম পাশা চৌধুরী রুমেলের দালাল বলে আমাকে গালমন্দ করে নিজে আমাকে কিল, ঘুষি, লাথি মারতে থাকে। নিজে মারধর করে এরপর তার সাথে থাকা বাহিনীর হাতে আমাকে তুলে দেয় পেটানোর জন্য। তারা আমাকে একটি গলির ভিতর ঢুকিয়ে বেধড়ক কিল, ঘুষি, লাথি মেরে বেহুশ করে সাথে থাকা নগদ ছয় হাজার টাকা ও একটি স্যামস্যাং মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়। একপর্যায়ে অচেতন অবস্থায় স্থানীয়রা আমাকে রিকশায় উঠিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেয়।
জাহাঙ্গীর আরো বলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রুমেল আমার বন্ধু। শুধু মাত্র রুমেলের সাথে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণে আমার ওপর এ হামলা চালানো হয়। তবে এ বিষয়ে ভুক্তভোগী যুবলীগ নেতা এখন পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ করেননি। তিনি জানান, চরম নিরাপত্তাহীনতায় পড়ে তিনি দ্রুত বসুরহাট পৌরসভা এলাকার বাসা থেকে উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টা থেকে ৭টা পর্যন্ত একাধিকবার বসুরহাট বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার ব্যবহৃত ফোনে কল দেওয়া হলেও ফোন ব্যস্ত পাওয়া যায়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মো.সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, এ বিষয়ে কেউ থানায় কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন