নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় তিস্তা নদীতে পানি বিপদসীমার ৩০ সে.মি. নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। গতকাল বুধবার (২০ অক্টোবর) বিপদসীমার ৬০ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল পানি। এর ফলে ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, গয়াবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশাচাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী গ্রামে বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়ে হাজার হাজার পরিবার। চরাঞ্চলের এসব বাড়িঘরে ৫-৬ ফিট পানি উঠে ডুবে যায় রাস্তা-ঘাট।
পানি বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে তিস্তা নদী তীর সংলগ্ন ডিমলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের কালিগঞ্জ নামক স্থানে ২৫০ মিটার বেড়িবাঁধ পানির তোড়ে ভেঙে গেছে। পানির স্রোতে বিলীন হয়েছে ওই এলাকার ৩০০ পরিবারের ঘরবাড়ি। এদিকে টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের তেলিরবাজার নামক স্থানে স্বপনবাঁধ ভেঙ্গে ১৫০ বাড়ী প্লাবিত হয়েছে। নদীর বামতীরে সেচ্ছাসেবী বালুর বাধ ভেঙ্গে টাপুরচরের মানুষের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। এই মৌসুমে সেখানকার মানুষ ধান, ভুট্টা, আলু, পেয়াজ আবাদ করে।
এলাকাবাসী বলছেন, আকস্মিক পানি উঠে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কার্তিক মাসের এমন হঠাৎ বন্যা তিস্তাপাড় ও চর এলাকাবাসীকে পথে বসিয়ে দিয়েছে। এলাকার গ্রাম এখন নদীতে পরিণত হয়েছে।
এবিষয় ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশফাউদ্দৌলা জানিয়েছেন পানিতে তিস্তা ব্যারেজের বেশ কিছু স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে বন্যা নিয়ন্ত্রণে বাঁধের ২৫০ মিটারের বেশি এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে অনেক জায়গায়, বাঁধ রক্ষার জন্য নদীতে যে স্পার দেয়া হয় তাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের নীলফামারী-১ আসনের সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকারের নির্দেশনায় ও উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক আবু সায়েম সরকারের তত্ত্বাবধায়নে রান্না করা খিচুরি বিতরণ করায় হয়। এছাড়াও ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থা মন্ত্রণালয় হইতে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেজবাহুর রহমান ৪৯শত পরিবারের তালিকা করে ক্ষতিগ্রস্তদের ১০ কেজি করে চাল বিতরণের কার্যক্রম শুরু করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন