বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আদিগন্ত

প্রধান বিচারপতির অভিযোগ এবং বাস্তবতা

প্রকাশের সময় : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মোহাম্মদ গোলাম হোসেন : চরম নিষ্ঠুরতার সঙ্গে খিলাফতের দাবিদার উমাইয়া ও হাশেমীদের পর্যুদস্ত করার পর খলিফা আলমনসুর এবার সমালোচক বুদ্ধিজীবী ও ফকিহদের সাইজ করার ব্যাপারে মনোযোগী হলেন। প্রথমেই তার নজর পড়ল ইমাম আবু হানিফার দিকে। এ যুগের স্বৈরশাসকদের মতোই লোভনীয় টোপ গিলিয়ে বশীভূত করতে চাইলেন প্রথমে। ইমামকে রাজদরবারে ডেকে এনে সা¤্রাজ্যের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব গ্রহণের প্রস্তাব করলেন মনসুর। এর চেয়ে লোভনীয় অফার আর হয় কী? অবশ্য এই পদের জন্য তিনি অদ্বিতীয়ও বটে! তাছাড়া আস্থা ও জনপ্রিয়তায় তার তুলনা তো তিনি নিজেই। মনসুর হয়তো ভেবেছিলেন টোপ গেলানো সম্ভব হলে একদিকে ইমামের বিপুল জনপ্রিয়তা তার অনুকূলে এসে যাবে, অন্যদিকে তার সব অন্যায়-অবিচার ‘আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে’ বৈধতার ছাপ দেয়া সহজ হয়ে যাবে। কিন্তু ইমাম সাহেবের সাফ জবাব  ‘আমি এ পদের যোগ্যতা রাখি না’। মনসুর রেগে গিয়ে বললেন, আপনি মিথ্যে বলছেন। আপনি অবশ্যই এই পদের উপযুক্ত। সঙ্গে সঙ্গে আবু হানিফা বললেন, ‘মিথ্যেবাদী কিছুতেই বিচারক মনোনীত হতে পারে না।’ ইমামের এহেন দৃঢ় জবাবে বিস্মিত দরবার ভয়ে-আতঙ্কে নিস্তব্ধ। নীরবতা ভঙ্গ করে মনসুর ফের বললেন, ‘আমি কসম করে বলছি, আপনাকে অবশ্যই আমার প্রস্তাব গ্রহণ করতে হবে।’ জবাবে ইমামও বললেন, ‘আমিও কসম করে বলছি, কিছুতেই আমি তা গ্রহণ করব না।’ কে একজন চিৎকার করে বলে উঠল, ‘আবু হানিফা তুমি আমিরুল মুমিনের মতো পাল্টা কসম খাচ্ছ!’ ইমামের নির্ভীক জবাব, ‘কেন খাব না, কসমের কাফ্ফারা আদায় আমা অপেক্ষা খলিফার জন্যই সহজতর।’ (অর্থাৎ অনর্থক কসমের কাফ্ফারা তো মনসুরকেই দিতে হবে।) ইমামের ব্যক্তিত্ব ও দৃঢ়তায় মনসুরের মানবসত্তা জাগ্রত হওয়ার পরিবর্তে তার পশুত্বকেই উসকে দিল। আমৃত্যু কারাবাসের নির্দেশ দিয়ে ইমামকে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হলো এবং অল্প কিছু দিনের মধ্যে খাদ্যে বিষ প্রয়োগে তাকে হত্যা করা হলো। আর এভাবে জাতিকে একজন মহাগুণী ব্যক্তির জ্ঞান ও পা-িত্যের উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হলো অকালেই।
ইমাম আবু হানিফা (রহ.)-এর জীবনী লেখা এখানে উদ্দেশ্য নয়। তবে সেই দিনের পরিস্থিতির সঙ্গে আজকের প্রেক্ষাপটের অনেকাংশে মিল আছে বলেই এই অবতারণা। প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা সম্প্রতি পিলে চমকানোর মতো কিছু তথ্য দিয়েছেন। এর মধ্যে একটি হলোÑ ‘বিচার বিভাগের ক্ষমতা কেড়ে নিতে চাইছে নির্বাহী বিভাগ।’ এরও আগে তিনি দেশের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মামলার বিচার প্রার্থীরা ন্যায়বিচার বঞ্চিত বলেও এক ভয়ঙ্কর অথচ অকাট্য সত্য জাতিকে জানিয়েছেন। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং সময়মতো মামলা নিষ্পত্তির ব্যাপারে তিনি পুলিশি প্রতিবেদন ও আইনজীবীদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। অনেকের নাখোশের মধ্যে এবার তিনি আর একটা বোমা ফাটালেন ‘কোনো কোনো বিচারপতি রায় লিখতে অস্বাভাবিক বিলম্ব করেন। আবার কেউ কেউ অবসর গ্রহণের দীর্ঘদিন পর পর্যন্ত রায় লেখা অব্যাহত রাখেন। যা আইন ও সংবিধান পরিপন্থী।’ এই সত্য কথনটি সুরঞ্জিত বাবুদের কাছে ‘আগুনে অক্টেন’ ঢালার মতোই বোধ হলো যেন।
৬০ থেকে ৭০ ভাগ বিচার প্রার্থী ন্যায়বিচার পান না, তার মানে তারা অবিচারের শিকার। ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভাগ্যবান যারা ন্যায়বিচার পাচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে সেই সংখ্যাটি কাকতালীয়ভাবেই আবার সুষ্ঠু নির্বাচনে ক্ষমতাসীনদের প্রাপ্ত ভোটের প্রায় সমানুপাতিক।
বিজ্ঞ আদালতের রায় ‘ফারুকের ওপর কোনো পুলিশি নির্যাতন হয়নি।’ অতএব মামলা খরিজ। দৈনিক ইত্তেফাক খবরটি প্রথম পৃষ্ঠায় গুরুত্ব দিয়েই ছাপল বটে, তবে বিজ্ঞ সম্পাদক সেই দিনের ঘটনায় ফারুককে বিবস্ত্রপ্রায় ছবিটিও পাশাপাশি ছেপে দিতে ভুল করেননি। ওদিকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দীন তো সদম্ভে ঘোষণাই দিলেন ‘ফারুককে নির্যাতনের জন্যই হারুনের (পুলিশ কর্মকর্তা) প্রেসিডেন্ট পদক প্রাপ্তি।’ নারায়ণগঞ্জের ৭ খুনের ঘটনা ‘লালচক্ষু’ আর ভ্রুকুটি উপক্ষো করে আদালত যদি অভিযুক্তদের ব্যাপারে অনড় ও আইনানুগ ভূমিকা না নিতেন তাহলে অপরাধীরাই কী আজ ছড়ি হাতে সদম্ভে ঘুরে বেড়াতেন না? আর রিমান্ডের নামে খুনের স্বীকারোক্তি আদায়ের পর বাদীকেই জেলে বসে ফাঁসির প্রহর গুনতে হতো না? এমন আদালতের মাথার ওপর দায়িত্বশীল সংসদের অভিসংশনের খড়গ না ঝুলিয়ে উপায় থাকে কী?
অন্যদিকে, প্রত্যাশিত রায়ের বিনিময় লোভনীয় বদলি বা প্রমোশনের প্রতিশ্রুতি আদালতের কণ্ঠরোধ বা স্বাধীনতা কেড়ে নেয়ারই নামান্তর নয় কী? ফাইল কেলেঙ্কারি আদালত প্রাঙ্গণ হতে  সুখরঞ্জন বালি হাওয়া হয়ে যাওয়া বা জয়নাল আবদীন ফারুকের মামলা খারিজ হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনাগুলোতে যে সেই একই অশুভ শক্তির হাত সক্রিয় ছিল না এমনটি হলফ্্ করে বলবে কে?
প্রধান বিচারপতির অভিযোগ ‘সুপ্রিম কোটের বিচারপতিগণ রায় লিখতে অস্বাভাবিক রকম বিলম্ব করেন। এমনকি অবসর গ্রহণের পরও রায় লিখেন যা সংবিধান ও আইনের পরিপন্থী।’ তার মতের পক্ষে তিনি যে যুক্তিগুলো তুলে ধরেছেন তা বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য। ‘সুপ্রিম কোটের বিচারপতিগণ বাংলাদেশের সংবিধান, আইনের সংরক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তা বিধানের শপথ গ্রহণ করেন। কোন বিচারপতি অবসর গ্রহণের পর তিনি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে গণ্য হন বিধায় তার গৃহীত শপথ ও বহাল থাকে না। আদালতের নথি সরকারি দলিল। একজন বিচারপতি অবসর গ্রহণের পর আদালতের নথি নিজের নিকট সংরক্ষণ, পর্যালোচনা বা রায় প্রস্তুত করা এবং তাতে দস্তখত করার অধিকার হারান, আশাকরি বিচারকগণ আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এমন বেআইনি কাজ থেকে বিরত থাকবেন।’ লক্ষ্যণীয় যে, প্রধান বিচারপতি তার বক্তব্যের সমর্থনে কতিপয় যুক্তিও তুলে ধরেছেন যা খ-ন করা সম্ভব নয়। সুতরাং তা বক্তব্যের মুকাবিলায় যুক্তি ও প্রজ্ঞা বদলে অনেকের কাছে গলাবাজিটাই যেন হাতিয়ার। প্রবীণ আইনবিদ সুরঞ্জিত বাবুতো রেগেই খুন! দলীয় কর্মীদের যেভাবে শাসন করেন সেই ভাষাতেই কথা বল্লেন তিনি। প্রধান বিচারপতিকে সংযত হয়ে কথা বলার উপদেশ দিতে গিয়ে নিজেই যে অসংযত হয়ে পড়েছেন সেই খেয়ালটুকুও তার নেই। আপনার এখনো সময় আছে। প্রতিষ্ঠানটির কথা চিন্তা করুন।’ সুরঞ্জিত বাবু কী অভিশংসনের খড়গটির কথাই স্মরণ করিয়ে দিতে চাইলেন? ‘প্রতিষ্ঠানটি’ আদালত না আওয়ামী লীগ? সর্বশেষে তিনি প্রশ্ন রেখেছেন, আবার উত্তরটাও নিজেই দিয়েছে, ‘সংবিধানের কোন্্ জায়গায় লেখা আছে বিচারপতিরা অবসরে গেলে রায় লিখতে পারবেন না? একথা সংবিধানের কোথাও লেখা নেই।’ তাহলে সংবিধানের কোথাও ‘ভোট ডাকাতি, কারচুপি বা ভোটবিহীন নির্বাচন করা যাবে না’ এমন কথা লিখা নেই বলেই কী একই অনিয়মের পুনরাবৃত্তি ঘটনানো হচ্ছে বারবার আর ‘সংবিধান সম্মত’ভাবেই তা অনন্তকাল চালিয়ে যাওয়ার প্রকাশ্য ঘোষণাও দেয়া হচ্ছে? ওনার কাছে জানতে চাওয়া কী বেমানান হবে যে, ‘বিচারপতিগণ অবসরে যাওয়ার পরও বর্ষপরিক্রমায় রায় লিখতে পারবেন’ এমন কথা সংবিধানের কোথায় আছে? ‘ল’ ইজ নাথিং বাট কমন সেন্স’ বলেও একটা কথা আছে যদিও ‘কমনসেন্সটা’ সব যুগে আনকমনই দেখা গেছে। দাম্পত্যজীবনের সব দায়িত্ব, কর্তব্য কী কাবিননামায় লিখা থাকে? অনেক বিয়েতে তো কাবিননামাই হয় না, তাই বলে কী দায়িত্ব, কর্তব্য পালিত হয় না? ‘কমনসেন্স’ই এখানে কাবিননামা, যেমন যুক্তরাজ্য চলে সংবিধান ছাড়াই। কিন্তু তাই বলে তো ভোট জালিয়াতি হয় না। তারপরও বলি সংবিধানটা আক্ষরিক অর্থে না পড়ে হাকিকতের দৃষ্টিতে পড়–ন অনেক অদেখা বস্তুও দেখতে পাবেন আশা করি। তবে হ্যাঁ, ‘শপথের কথাগুলো যেখানে ‘রাজা-উজির’ কেউই মেনে চলেন না সেখানে কেবল বিচারপতিগণই তা মেনে চলতে বাধ্য হবেন কেন’ এই চেতনাই যদি সুরঞ্জিত বাবুর নাখোশের কারণ হয়ে থাকে তবে তা ভিন্ন কথা। কবি যে কবিতা আজও লিখেননি সেই কবিতার সারমর্ম লিখা সম্ভব না হলে পূর্ণাঙ্গ রায় লিখিত ও স্বাক্ষরিত হওয়ার আগে তার সারসংক্ষেপ প্রকাশ সম্ভব হয় কেমন করে? ক্ষেত্র বিশেষে একটি মামলার রায় হাজার পৃষ্ঠাও হতে পারে যা আদালতে পড়ে শোনানো অনেকটাই অসম্ভব। সুতরাং পূর্ণাঙ্গ রায়ের সারসংক্ষেপ বা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটি পড়ে শোনানো হবে এটাই সঙ্গত। অবসরে যাওয়ার পর অফিসের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র নিজ হেফাজতে রাখনেন, প্রয়োজন মত সাজাবেন আর পেছনের তারিখ দিয়ে অবলীলাক্রমে সই করতে থাকবেনÑ এটাকে আইনের দৃষ্টিতে কিংবা নৈতিকতার দৃষ্টিতে ঠিক বলা যায় কি? প্রশ্ন থেকে যায় এই সুযোগ বৈধ হলে কোন কারণে কেউ অব্যহতি নিলে বা অব্যহতি দেয়া হলে সেই ক্ষেত্রেও কী তা প্রযোজ্য হবে? লেখা শেষে দস্তখতে তিনি কোন তারিখটাই ব্যবহার করবেন? যদি সংক্ষিপ্ত রায় প্রদানের তারিখ ব্যবহার করেন তাহলে সেটি হবে নিরেট অসত্য, আর যদি ঘটনার স্থানকালের সঙ্গতি রেখে তারিখ প্রদান করেন তা হলে সেই রায়ের আদৌ কোন মূল্য থাকে কী? মনোবিজ্ঞানের একটি স্বীকৃত সত্য যে, মানুষের চিন্তা-চেতনা নিয়ত পরিবর্তনশীল, চলমান প্রক্রিয়া। এই মুহূর্তে আমি যা লিখছি একদিন আগের বা পরের লেখায় কী হুবহু তা সম্ভব? দুই রায়ের অন্তর্বর্তী সময় যদি এমন কোন তথ্য বিচারকের গোচরে আসে যাতে রায় প্রভাবিত হতে পারে, বা প্রদত্ত রায়টি ভুল-অন্যায্য হয়েছে বলে তার স্থির বিশ্বাস জন্মে, অথবা যদি এমনটি ঘটে যে বিচারক তার অসম্পূর্ণ রায় লিখতে মানবিক বা শারীরিকভাবে অসমর্থ হয়ে পড়েন, পরলোক গমন করেন স্থান-কাল-পাত্রের এহেন পরিবর্তিত অবস্থাতে মুক্তি ও ইনসাফের ফয়সালা কী হবে? বিচারপতিগণও মানুষ। জনৈক বিচারপতি একবার ক্ষোভের সাথে বলেছিলেন, ‘আমাদের দেশে সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে রায়েরও পরিবর্তন ঘটে। রায় লেখার দীর্ঘ সূত্রিতায় এহেন অপ্রিয় সত্যের মুখোমুখি হওয়া মোটেও অস্বাভাবিক নয়। সময়ের ব্যবধানে রায় লিখতে গেলে গোঁজামিল কতটা অনিবার্য হয়ে পড়তে পারে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল সংক্রান্ত রায়টি তার প্রকৃষ্ট দলিল। যেমন : সংক্ষিপ্ত রায়ে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক লিখেছিলেন, দশম ও এগারতম পার্লামেন্ট নির্বাচন উপরে উল্লেখিত ত্রয়োদশ সংশোধনীর বিধান মোতাবেক অনুষ্ঠিত হতে পারে যুগ-যুগান্তরের পুরনো নীতির ওপর ভিত্তি করে। (তিনি এখানে ৩টি নীতির কথা উল্লেখ করেন) ১। ‘সাধারণভাবে বা আইনগত নয় বা বৈধ নয় তাই প্রয়োজনে বৈধ হয়। (২) ‘জনগণের নিরাপত্তাই সর্বোচ্চ আইন।’ (৩) ‘অতঃপর রাষ্ট্রের নিরাপত্তাই সর্বোচ্চ আইন’Ñএখন প্রশ্ন হলো সুপ্রিম ল’ কখনো বেআইনী হতে পারে কী? একান্তই অসাংবিধানিক হয়ে থাকলে সংবিধানে প্রয়োজনীয় সংশোধনী এনে সঙ্গতিপূর্ণ করার দিক নির্দেশনা দেয়ারই তো কথা। অতৎপর তিনি লিখেছেন, ‘তবে বাংলাদেশের পার্লামেন্ট ইতোমধ্যে নিজ বিবেচনায় প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনতে পারে একটি শর্ত বাদ দিয়ে, বাদ দিতে হবে যে শর্তটি তা হলো এই যে, বাংলাদেশের কোন সাবেক প্রধান বিচারপতি বা আপিল বিভাগের কোন বিচারপতি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হবেন না। অথচ ১৬ মাস পর দেয় পূর্ণাঙ্গ রায়ে তিনি অপ্রত্যাশিতভাবে সংক্ষিপ্ত রায়ের চেতনা ও প্রত্যাশাকে পাশ কাটিয়ে লিখলেন ‘... উপরোক্ত নীতিগুলোর আলোকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সাময়িকভাবে শুধুমাত্র পরবর্তী দুটি সাধারণ নির্বাচনের ক্ষেত্রে থাকবে কি থাকবে না  সে সম্বন্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র জনগণের প্রতিনিধি জাতীয় সংসদই নিতে পারে।’ এমনটি হওয়ার কারণ এতদ ভিন্ন আর কী হতে পারে যে, তত্ত্বাবধায়ক নামের বিধানটিকে এর আগেই নির্মমভাবে বাতিল করা হয়েছে। অবশ্য পরবর্তী বাক্যে অপ্রয়োজনীয়ভাবে উক্ত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সকলে নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য সঠিকরূপে পালন করতে সম্পূর্ণ সজাগ ও পরিপূর্ণ দায়িত্বশীল হবেন বলে আশা প্রকাশ করা হলেও তা কোন কাজেই আসেনি।
য় লেখক : গবেষক ও প্রাবন্ধিক

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন