সাতদিনের রিমান্ড শেষে আরও ৫দিনে কুমিল্লার নানুয়ার দিঘির পাড়ের অস্থায়ী পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেফতার ইকবাল হোসেনসহ চারজন।
গতকাল শুক্রবার বিকেল পৌনে ৩টায় কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা সুলতানার আদালতে ইকবালসহ চারজনকে হাজির করা হয়। এ সময় মামলাটির তদন্ত সংস্থা সিআইডি সাতদিনের রিমান্ড চাইলে আদালত আসামিদের পাঁচদিনের মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে প্রধান অভিযুক্ত ইকবাল হোসেনের সঙ্গে রয়েছে, জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে পুলিশকে ফোন করা রেজাউল ইসলাম ইকরাম, দারোগা বাড়ি মাজার সহকারী খাদেম ফয়সাল ও হুমায়ুন কবির সানাউল্লাহ।
এদিকে, গত ২১ অক্টোবর রাতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকার সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে ইকবালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই রাতেই কুমিল্লা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান সরকারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম কক্সবাজার থেকে ২২ অক্টোবর দুপুরে তাকে কুমিল্লা পুলিশ লাইনে এনে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
পরে ২৩ অক্টোবর দুপুরে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিথিলা জাহান নিপার আদালতে ইকবালসহ চারজনকে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তাদের প্রত্যেকের সাতদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অন্যদিকে, পূজামণ্ডপ ভাঙচুরের ঘটনায় কুমিল্লার বিভিন্ন থানায় এ পর্যন্ত ১১টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় সাতটি, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় দুটি এবং দাউদকান্দি ও দেবীদ্বার থানায় একটি করে মামলা হয়েছে। এসব মামলায় গতকাল পর্যন্ত মোট ৮৯ জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মন্তব্য করুন