বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

জাফর ইকবালকে হত্যাচেষ্টায় দুইজনের কারাদণ্ড, একজনের যাবজ্জীবন

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ এপ্রিল, ২০২২, ২:২৪ পিএম

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও জনপ্রিয় লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে হত্যাচেষ্টা মামলায় হামলাকারী ফয়জুল হাসান ওরফে ফয়েজকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একইসঙ্গে তার বন্ধু সোহাগ মিয়াকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে সিলেট বিভাগীয় সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) নুরুল আমীন বিপ্লব এ রায় দেন।
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় রায়ে ফয়জুলের বাবা মাওলানা আতিকুর রহমান, মা মিনারা বেগম, ভাই এনামুল হাসান ও মামা সুনামগঞ্জ জেলা কৃষক লীগের নেতা ফজলুল হককে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তদের গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায়। তারা সিলেট নগরে ভাড়া বাসায় থেকে বসবাস করে আসছিলেন।
২০১৮ সালের ৩ মার্চ বিকেলে শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসের মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠান চলাকালে ড. জাফর ইকবালের ওপর হামলা হয়। মাদরাসাছাত্র ফয়জুল হাসান ছুরি দিয়ে জাফর ইকবালের মাথা ও ঘাড়ে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করেন।
এ সময় উপস্থিত ছাত্র-শিক্ষকরা হামলাকারী ফয়জুলকে হাতেহাতে ধরে গণধোলাই দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সোপর্দ করেন। জাফর ইকবালকে গুরুতর আহতাবস্থায় প্রথমে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে হেলিকপ্টারে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠেন জাফর ইকবাল।
এ ঘটনায় শাবিপ্রবির রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন বাদী হয়ে মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানায় ফয়জুল হাসানকে প্রধান আসামি করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন। ২০১৮ সালের ১৬ জুলাই ফয়জুলসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জালালাবাদ থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম। ওই বছরের ৪ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়।
এদিকে এই মামলা থেকে চার জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন-ফয়জুলের বাবা মাওলানা আতিকুর রহমান, মা মিনারা বেগম, মামা ফজলুর রহমান ও ভাই মো. এনামুল হাসান।
আদালতের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মমিনুর রহমান টিটু জানান, ‘গত ১০ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করেন আদালত। এরপর ২১ ও ২২ মার্চ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত মামলার রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণ করেন। খুব দ্রুত সময়ে এই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। আদালতের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।’

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন