স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দেশের প্রয়োজনে পুলিশের মধ্যে বিভিন্ন ইউনিট তৈরি হচ্ছে; এরমধ্যে শিল্পমালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসাবে কাজ করছে শিল্প পুলিশ।
শনিবার বিকালে সাভারের আশুলিয়ার শ্রীপুরে অবস্থিত শিল্পাঞ্চল পুলিশ ইউনিট-১ এর কার্যালয়ে আয়োজিত শিল্প পুলিশের ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ অত্যন্ত দক্ষ। যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সক্ষম। পুলিশ জনগনের বন্ধু হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি বলেন, গামের্ন্টস শিল্প আমাদের টনক নড়িয়েছে। বিভিন্ন সময় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছিল গামেন্টস সেক্টর নিয়ে। নানান ধরনের অসন্তোষ লেগেই থাকতো এ শিল্পে। সেগুলো নিরসনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রপ্তানী আয়ের চালিকা শক্তিকে আরও জোরদার করার জন্য ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে এই প্রতিষ্ঠান (শিল্প পুলিশ) গড়েছিলেন। এই ১১বছরে আমাদের ইন্ডাষ্ট্রিয়াল পুলিশ সুন্দর ভুমিকা পালন করছে বলেই মালিক ও শ্রমিকের মধ্যে একটা সেতুবন্ধন তৈরী হয়েছে। এই সেতুবন্ধনের জন্য আমরা আজ নিশ্চিন্তে থাকতে পারি। আমরা বলতে পারি শিল্পাঞ্চলে শিল্প পুলিশ কাজ করছে এজন্যই শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোও সুন্দর ভাবে কাজ চলছে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ, বিপিএম (বার) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, বিশেষ অতিথি শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা: মো: এনামুর রহমান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো: শফিকুল ইসলাম বিপিএম (বার) পিপিএম।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিল্পাঞ্চল পুলিশের অতিরিক্ত আইজি মোঃ শফিকুল ইসলাম, বিপিএম (বার), পিপিএম। এসময় তিনি শিল্প পুলিশের লোকবল বৃদ্ধিসহ সদস্যদের আবাসন ব্যবস্থার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করেন।
সভাপতির বক্তব্যে পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, যখন শিল্প পুলিশ প্রতিষ্ঠা হয় তখন বিদেশী অর্থে লালিত এনজিওরা একটি বিশাল ভেজাল লাগানোর চেষ্টা করেছিল। তাদের উদ্দেশ্য কার কি ছিল জানি না। তবে পশ্চিমা অর্থে পুষ্ঠ এনজিওরা জাতিয় ও আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে লবিং করেছিল যাতে শিল্প পুলিশ গঠন না হয়।
আইজিপি বলেন, শ্রমিকদের ত্রান কর্তা হিসেবে শিল্প পুলিশ গঠন হয়েছে। এবং শিল্পের শিল্প সহায়ক হিসেবে মালিক ও শ্রমিকের মধ্যে সু-সমন্নয় এবং শিল্পের বন্ধ তৈরী করার জন্য শিল্প পুলিশ কাজ করছে। এদেশে শিল্প পুলিশ শিল্প সহায়ক পরিবেশ তৈরীতে সক্ষম হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিজেএমইএ ও বিকেএমইএর সভাপতি, বিভিন্ন শিল্প-কারখানার মালিক, শ্রমিক নেতাসহ পুলিশ ও শিল্পপুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তা ও সদস্যরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন