টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুরু থেকে বাংলাদেশ দলে পারফরমেন্স নিয়ে চলছে নানা বিতর্ক। হার দিয়ে শুরু পর সুপার টুয়েলভে ওঠেও ঘুরে দাঁড়াতে পারে নি টাইগাররা। ফলে দলের পারফরমেন্সের পাশাপাশি খেলোয়াড়সহ ক্রিকেট সংশ্লিষ্টদের নানা মন্তব্য নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সুপার টুয়েলভের প্রথম ম্যাচে হারের পর দলের নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড় মুশফিকুর রহিম বলেন, ‘যারা বাইরে থেকে সমালোচনা করেন, তাদের উচিত আয়নায় নিজের মুখ দেখা।’
তার মতে, দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার কাজটা খেলোয়াড়রাই করে থাকেন, সমালোচকরা নয়। মুশফিক বলেন, সমালোচকরা বাংলাদেশের জন্য খেলে না, খেললে আমরাই খেলি।’
সুপার টুয়েলভে টানা তিন ম্যাচ হারের পর মুশফিকের ‘আয়নায় মুখ দেখা’র বিষয়টি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্নভাবে বিচার-বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।
ক্রিকেট বিশ্লেষকরা বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন। তারা খেয়োয়াড়দেরকে সোশ্যাল মিডিয়ায় নয়, খেলায় মনযোগ দেয়া পরামর্শ দিচ্ছেন।
ফেসবুকে এমডি ইউসুফ ভুইয়া লিখেছেন, ‘মুশফিক বলছিলো আয়নায় মুখ দেখতে। আজ উনার চেহারাটা কোথায় দেখবেন, লজ্জা নাই লজ্জা থাকলে এ রকম কথা বলতো না।’
মুশফিক-মাহমুদুল্লাহকে নিজেদের চেহারা আয়ানায় দেখার পরামর্শ দিয়ে অ্যাডভোকেট মোতালেব হুসাইন চৌধুরী লিখেছেন, ‘মুশি-মাহমুদুল্লাহকে কেউ একটা আয়না দাও। দুই ভায়রা ভাই একসাথে মিলে মুখগুলো দেখুক। এদের তো আয়নায় মুখ দেখাই শেষ হয় না! বল দোখবে কখন?’
তারেক আজিজের জিজ্ঞাসা, ‘মুশফিকের কি উচিত নয়, নিজের চেহারাটা একটি বার হলেও আয়নায় গিয়ে দেখা?’
সাইয়েদ নাইমুর রহমান কিশোর লিখেছেন, ‘আফগানিস্তানের খেলা দেখা উচিত। বাংলাদেশের অনেক পরে আফগানিস্তান ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট খেলা শুরু করছে। কিন্তু এখন আফগানিস্তান পাকিস্তানের সাথে কম্পিট করে আর বাংলাদেশ ওমান, স্কটল্যান্ডের সাথে হারে।’
সমালোচকদের উদ্দেশ্যে মেহেরুল ইসলাম জুঁই লিখেছেন, ‘যারা আজ মুশির আয়নায় মুখ দেখা নিয়ে লাফাইতেছ, তাদের সবাইকে কি মুশি আয়নায় মুখ দেখতে বলেনি? বলেছেন তাদের, যারা সমালোচক; তাদেরকে। আর সমালোচক তো তারাই, যাদের জন্য মুশিকে কিপিং ছাড়তে হয়েছে! তামিমকে বিশ্বকাপ ছাড়তে হয়েছে! তারাই তো সমালোচক, তাদেরকে-ই তো মুশফিক আয়নায় নিজের মুখটা দেখতে বলেছে। অতএব আপনি মন খারাপ করেন কেনো?
মুশফিকের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তন্ময় ইসলাম লিখেছেন, ‘মুশফিকের পাশে দাঁড়ান। ২০১৮ এশিয়া কাপে এই আরব আমিরাতেই পাজরে তীব্র ব্যাথা নিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেঞ্চুরি+ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯৯ রানের ইনিংস খেলার পাশাপাশি পুরো টুর্নামেন্টে ভালো খেলে দলকে ফাইনালে তুলেছিলেন মুশি। এছাড়াও তার অসংখ্য ইনিংস আছে যা উল্লেখ না করলেও চলবে! আজ চাপ নিতে না পেরে আয়না শব্দটি তার মুখ ফসকে বেড়িয়ে যাওয়ায় আমরা তাকে মাটির নিচে ঢুকিয়ে দিচ্ছি! আমরা কি পারছি নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করতে? পারছি না! মুশিও পারেনি! একটা কথা বলে ফেলায় তার সমস্ত অর্জনকে আমরা ভুলে গেছি! ভাই মুশিকে অন্তত ছাড় দেন! সে দেশের ক্রিকেটের ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড! একবার রাগ করে অবসর নিয়ে নিলে কি করবেন? মুশির মতো আদর্শবান ক্রিকেটার হয় না! ভালোবাসুন মুশিকে।’
নুরুন্নবী হোসাইন লিখেছেন, ‘হার জিত খেলার অংশ। দিন শেষে এরাই আমাদের হাসি আনন্দ আবেগ। দুঃখ পাওয়া কিছু নাই। আসুন, এই খারাপ সময় আমরা আমাদের টিমের পাশে সাহস নিয়া সমর্থন করি। দিন শেষে আমাদের বাংলাদেশ।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন