শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

রাবির হলে রুমের কড়া ভেঙে সিটের দখল নিলো ছাত্রলীগ

রাবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩ নভেম্বর, ২০২১, ১১:২৫ এএম

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আবাসিক হলের একটি রুমের দরজার কড়া ভেঙে সিট দখল নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। ওই কক্ষের এক আবাসিক শিক্ষার্থীর সিটে অন্য আরেকজনকে দখল নিয়ে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জিয়াউর রহমান হলে এ ঘটনা ঘটে।

হলের কয়েকজন আবাসিক শিক্ষার্থী ও কর্মচারী জানান, হলের দুই সিট বিশিষ্ট ২৩৫ নম্বর রুমে পপুলেশন সায়েন্সেস এন্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সুলতান মাহমুদ বিদুৎ ও এগ্রোনমি এন্ড এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মো. সরওয়ার থাকেন। গত ১৭ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হল খুলে দেয়ার পরে এখন পর্যন্ত হলে উঠেননি তারা। হলটির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা শাখা ছাত্রলীগের উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক মো. আহসান উল্লাহর ৫-৬ জন অনুসারী গিয়ে দরজার তালা ঝুলানোর কড়া ভেঙে রুমে প্রবেশ করে সুলতান মাহমুদের সিটে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগে আকিব আব্দুল্লাহ নামের এক শিক্ষার্থীকে সিটের দখল নিয়ে দেন।

২৩৫ নং কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী সুলতান মাহমুদ বিদ্যুৎ বলেন, পারিবারিক কাজে হল থেকে কিছুদিন আগে বাড়িতে এসেছি। আজ সন্ধায় আমার রুমমেট জানায় আমার কক্ষে কে বা কারা প্রবেশ করেছে। বিষয়টি আমি হল প্রাধ্যক্ষকে জানিয়েছি।

২৩৫ নম্বর রুমের আশেপাশের অন্তত ৭-৮ জন শিক্ষার্থী জানান, আকিবের সঙ্গে আলাপকালে তিনি সিটের দখল বুঝিয়ে দিতে হলের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ৫ হাজার টাকা দিয়েছেন বলে তাদের জানিয়েছেন।

তবে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি অস্বীকার করে ছাত্রলীগ নেতা আহসান উল্লাহ বলেন, আকিব বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর সুপারিশ নিয়ে আমার কাছে এসেছিল। আমি তাকে বলেছি, রুমটি ফাঁকা আছে তুমি ওই রুমে উঠো। রুমটির যারা আবাসিক শিক্ষার্থী তাদের মাস্টার্স শেষ হয়ে গেছে। আমি তাদের সাথে কথা বলেছি। আমাকে না জানিয়েই ছেলেটি হলে ঢুকেছে। কাজটা আসলে ঠিক হয়নি।

তবে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে আকিব আব্দুল্লাহর নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, বিষয়টি আমি এখনও জানি না। আমি খোঁজ নিচ্ছি।

জানতে চাইলে হলের প্রাধ্যক্ষ ড. সুজন সেন বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গেছে। বিষয়টি জানার পর তাৎক্ষণিকভাবে হলের সুপারভাইজারকে পাঠিয়ে ওই কক্ষে তালা দিয়েছি। পরে হলে এসে যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের তথ্য নিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন