শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

কুবিতে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু হলের রিডিং রুমে ফাটল

মেহেদী হামান মুরাদ, কুবি থেকে | প্রকাশের সময় : ১৩ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০১ এএম

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সম্প্রসারিত ভবনের রিডিং রুমের বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই। প্রশ্ন উঠছে কাজের মান নিয়ে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হলের সম্প্রসারিত অংশের রিডিং রুমের সাথে সংযুক্ত করিডোরের কয়েকটি স্থানে ফাটল ধরেছে। হাত দেওয়ার সাথে সাথে খসে পড়ছে প্লাস্টার। এছাড়া রুমের ভিতরের অংশের দেয়ালেও দেখা দিয়েছে ফাটল। ফলে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই এমন ফাটলে বিস্মিত শিক্ষার্থীরা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৬ সালে ১৩ কোটি ১৪ লাখ টাকা বাজেটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সম্প্রসারিত অংশের জন্য টেন্ডার ডাকা হয়। এ নির্মাণ কাজ পান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্টার লাইট সার্ভিস লিমিটেড। কাজ শুরুর ১৫ মাসের মধ্যে প্রশাসনের কাছে কাজ বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও প্রায় সাড়ে ৫বছর পরও ৩০ শতাংশ কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি। তিনবার সময় বৃদ্ধির পর আবার নতুন করে চতুর্থবারের মতো সময় বৃদ্ধি করে চলছে নিমার্ণ কাজ। কবে বিশ্ববিদ্যালয়কে বুঝিয়ে দিতে পারবেন জানেন না ঠিকাদারসহ সংশ্লিষ্ট কেউই।
এদিকে হলের মূল ভবনের নবনির্মিত চতুর্থ ও পঞ্চম তলার টাইলসে দেখা দিয়েছে ফাটল। কয়েকটি রুমের টাইলস ওঠে গেছে আবার অনেকগুলাতে ধরেছে ফাটল। শিক্ষার্থীরা বলেন, নির্মাণ কাজ চলমান অবস্থায় ভবনে এমন ফাটল কিভাবে হয়? কি পরিমাণ নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করলে এমন হতে পারে। রিডিং রুমে প্রতিদিন শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা করে। যদি চলাচলের পথে এমন ফাটল থাকে তাহলে যেকোন সময় দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের নজরধারিতাকেও দায়ী করেন শিক্ষার্থীরা। ভবন নির্মাণে দায়িত্বরত ঠিকাদার আমির হোসেন মিলন বলেন, এখানে দুই ভবনের গ্যাপ থাকায় এমন হয়েছে। শ্রমিকেরা আলাদা না রেখে সংযুক্ত করে দিয়েছে তাই ফাটল ধরছে। প্লাস্টার করার সময় শ্রমিকেরা বালি বেশী দিয়ে দিয়েছে থাকতে পারে। তবুও আমি শ্রমিক পাঠাচ্ছি, ঠিক করে দেওয়া হবে। এমন ফাটল ভবনকে ঝুকিঁপূর্ণ করবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা ফাটল নয় বলে দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে প্রকৌশল দপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এসএস শহিদুল হাসান বলেন, নতুন ভবনে এভাবে ফাটল হওয়ার কথা নয়। অনেকসময় দুটি ভবনের সংযুক্তিতে ফাঁকা রাখা হয়। কিন্তু এটা যেহেতু সংযুক্তি নয় সেক্ষেত্রে এটা দেখতে হবে। প্রকৌশলী পাঠাবো এবং ঠিকাদারের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলব। দরকার হলে নতুন দেয়াল করে দিতে হবে। ভবনে কোন ধরনের ফাটল থাকলে আমরা গ্রহণ করব না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট ড. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম বলেন, উদ্বোধনের আগে এমন ফাটল হয়েছে এটা ঝুকিঁপূর্ণ। এখানে ছাত্র, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ যারা আছে সবার জন্য জীবননাশের হুমকি। এভাবে তো ভবন গ্রহণ করতে পারিনা। হল প্রশাসন থেকে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাব। বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার আবু তাহের বলেন, আগামী রবিবার আমি নিজে গিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। নিম্ন মানের কোন কাজের দায় নিবেনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন