বাংলাদেশে গবেষণার উপর গুরুত্ব কম দেয়া হয়। আগে বৈদেশিক সহায়তায় অনেক গবেষণা হত। এখন তা কমে গেছে। সরকারিভাবে উন্নয়ন গবেষণা খাতে অর্থায়ণ করা যেতে পারে। সরকারের অর্থের অভাব নেই। আছে শুধু সদ্দিচ্ছার। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষনা সেল ও অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে।
শুক্রবার (২ অক্টোবর) রাতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ গবেষণা গ্রুপের ওয়েবনারের ৩০তম পর্বে ‘বাংলাদেশে উন্নয়নখাতে গবেষণা’ শীর্ষক আলোচনায় আলোচক এ কথা বলেন।
ওয়েবিনারে আলোচক হিসেবে ছিলেন একশন ফর সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট (এএসডি) -এর নির্বাহী পরিচালক এবং উন্নয়ন গবেষক জামিল এইচ. চৌধুরী।
এ সময় জামিল এইচ. চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন গবেষণার সূচনা কুমিল্লার বার্ড থেকে এবং স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ব্র্যাক, প্রশিকা, এবং গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে সারা দেশে উন্নয়ন কার্যক্রমের ব্যাপক প্রসার ঘটে। সেই সাথে প্রসার ঘটে উন্নয়ন গবেষণার এবং এ সময় থেকে প্রচুর বিদেশী তহবিল আসতে থাকে বাংলাদেশের উন্নয়নের সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণা করার জন্য। তবে বর্তমানে বিদেশি বিভিন্ন গবেষণা সংস্থার তহবিল কমে গেলেও সরকার নতুন নতুন অনেক তহবিল সৃষ্টি করে তার মাধ্যমে গবেষণা করছে।
তিনি বলেন, সরকারের সঠিক নীতি এবং পরিকল্পনার অভাবে সরকারি গবেষণা সঠিক ভাবে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। আর একটি বড় সমস্যা হল আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে উন্নয়ন গবেষণার সাথে সম্পৃক্ত করতে পারছি না। আর এটি করার জন্য সরকারকে সঠিক নীতি ও পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে।
সামাজিক গবেষণা গ্রুপের সদস্য সমন্বয়ক এবং সংঘর্ষ ও উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ, গেন্থ বিশ্ববিদ্যাল, বেলজিয়ামের পিএইচডি গবেষক কৃষ্ণ কুমার সাহার পরিচালনায় ওয়েবিনারটিতে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তের সাংবাদিক, গবেষক, এনজিও কর্মী অংশ নেন।
উল্লেখ্য, মহামারি করোনাভাইরাসের সংকটকালে সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানচর্চা চলমান রাখার লক্ষ্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ গবেষণা গ্রুপ নিয়মিতভাবে ওয়েব সেমিনার আয়োজন করে আসছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন