যৌন হয়রানির অভিযোগে অভিযুক্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আলী রেজওয়ান তালুকদারের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ তুলে এবার লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ঐ বিভাগেরই দুই শিক্ষক।
গত মঙ্গলবার বিশ^বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহেরের কাছে এ অভিযোগ দেন ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান ও সহকারি অধ্যাপক মোহাম্মদ আকবর হোসেন। অভিযোগে বলা হয়, এক ছাত্রীর আনা যৌন নিপীড়নের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আলী রেজওয়ান তালুকদার গত ১৯ জানুয়ারি কুমিল্লা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে দুইজন শিক্ষককে জড়িয়ে মিথ্যা ও মানহনিকর বক্তব্য উপস্থাপন করায় এর তীব্র নিন্দা জানান। তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানানো হয়।
ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, কুমিল্লা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে আমাদের বিভাগীয় প্রধান আলী রেজওয়ান তালুকদার আমাকে জড়িয়ে পরীক্ষায় নম্বর বাড়িয়ে দেয়া সংক্রান্ত একটি গুরুতর অভিযোগ করেন। যা বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এটি মোটেও সত্য নয়। অন্য এক অভিযোগ পত্রে সহকারি অধ্যাপক মোহাম্মদ আকবর হোসেন বলেন, আমাদের বিভাগীয় প্রধান গত ১৯ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলনে আমার বিরুদ্ধে ঐ ছাত্রীর সাথে গত ২১ নভেম্বর অনৈতিক, আপত্তিকর ও অশালীন ব্যবহার করি বলে তিনি অভিযোগ করেন। যা আমার জন্য খুবই অনাকাঙ্খিত, বেদনাদায়ক ও অসম্মানজনক।
বিশ^বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, একজন বিভাগীয় প্রধান তার বিভাগের শিক্ষকদের নিয়ে এমন মন্তব্য করতে পারেন না। দু’জন শিক্ষক অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি ভিসি মহোদয়ের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ জানুয়ারি কুমিল্লা বিশ^বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আলী রেজওয়ান তালুকদারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মোবাইল ফোনের গুরুত্বপূর্ণ সকল তথ্য মুছে ফেলার অভিযোগ তুলে বিভাগের সান্ধ্য কোর্সের এক শিক্ষার্থী বিশ^বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, ইংরেজি বিভাগের সান্ধ্য কোর্সের পরিচালক ড. হাবিবুর রহমান ও বিশ^বিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন সেল বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরবর্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষক বিষয়টিকে বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে বিভাগের এক শিক্ষককে এর মদদদাতার অভিযোগ তুলে কুমিল্লা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।
এদিকে অভিযোগকারি শিক্ষার্থীর অভিযোগের ভিত্তিতে কুমিল্লা বিশ^বিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেলের অধিনে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী তদন্ত চলাকালিন অভিযুক্ত শিক্ষক আলী রেজওয়ানকে সান্ধ্য কোর্সের সব ধরনের কার্যক্রম থেকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন