পদ্মায় নাব্য সঙ্কট ও ফেরি সঙ্কটের কারণে যানবাহনের লম্বা সারি তৈরি হয়েছে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে। সরজমিনে গতকাল বিকেলে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া জিরো পয়েন্ট থেকে বাংলাদেশ হ্যাচারি পর্যন্ত চার কিলোমিটার এলাকায় তৈরি হয়েছে যানবাহনের লম্বা সারি। এতে অন্তত ৪শ’ যানবাহন পারের অপেক্ষায় আটকে আছে। যার মধ্যে পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যাই বেশি। এছাড়াও দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ১২ কিলোমিটার পেছনে গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় আরো অন্তত ১শ’ পণ্যবাহী ট্রাক পারের অপেক্ষায় রয়েছে।
এ সময় কুষ্টিয়া থেকে আসা ট্রাকচালক নজরুল ইসলাম আকন্দ জানান, এখন ঘাটের নাগাল পেতে তাদের তিন থেকে চার দিন আটকে থাকতে হচ্ছে। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ মোড়ে দুই দিন এরপর দৌলতদিয়া ঘাটে আরো দুই তার পরে দেখা মিলছে কাক্সিক্ষত সেই ফেরি। এতে দুর্ভোগের যেন শেষ নেই।
অপর চালক আলমগীর হোসাইন বলেন, ফেরি সঙ্কট, ফেরি বাড়ালেই দুর্ভোগ কমে আসবে। আসলে ফেরি বাড়ালে উপরি আয় কমে যাবে যে কারণে ইচ্ছে করে কর্তৃপক্ষ ফেরির সংখ্যা বৃদ্ধি করে না। তিনি রেগে গিয়ে বলেন, আমরা কি মানুষ না? আমরা পশুর চেয়েও খারাপ। তিন দিন ধরে রাস্তায় রাস্তায় আছি। রাতে ট্রাকের মালামাল চুরি যাবার ভয়ে ঘুমাতে পারি না। ছিনতাইকারীরা মোবাইল নিয়ে যায়, তেল চুরি করে, ব্যাটারি খুলে নিয়ে যায়। আমরা যাবো কোথায় কার কাছে বলবো?
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক জামাল হোসেন জানান, এই নৌরুটে চলাচলকারী ২০টি ফেরির মধ্যে ৫টি বিকল। বাকি ১৫টি ফেরি দিয়ে চলছে পারাপার। তাছাড়া নাব্য সঙ্কটের কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরিগুলোকে ধীরে চালাতে হচ্ছে যে কারণে ঘাটে কিছুটা যানজট থেকে যাচ্ছে। তবে ভোগান্তি কমাতে যাত্রীবাহী বাস ও ব্যক্তিগত ছোট যানবাহনকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করানো হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন