বাংলাদেশ মানবপাচারের মূল কারণসমূহ চিহ্নিত করতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা বলেন, জলবায়ু ঝুঁকি, সংঘাত, বাস্তুচ্যুতিসহ বিভিন্ন কারণে মানবপাচার ঘটছে। মানবপাচারের মূল কারণসমূহ অবশ্যই আমাদের চিহ্নিত করতে হবে। মানবপাচার রোধে জাতিসংঘের গ্লোবাল প্ল্যান ফর অ্যাকশান এর মূল্যায়ন বিষয়ক সাধারণ পরিষদের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে জাতীয় তথ্য তুলে ধরার সময়ে তিনি এ কথা বলেন।
গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়। জাতিসংঘ সদরদপ্তরে ২২ থেকে ২৩ নভেম্বর এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে বিজ্ঞপিÍতে উল্লেখ করা হয়। তিনি মানবপাচারকে ভয়াবহ অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে বলেন, এটি মানবাধিকার ও মানবিক মর্যাদার মৌল নীতির অপমান।
জাতিসংঘ দূত মানবপাচার রোধে জেরালো আইনী কাঠামো, বহুপক্ষীয় অংশীদারিত্ব ও কার্যকর আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বৈঠকে মানবপাচার রোধে বাংলাদেশ সরকারের নেয়া বিভিন্ন আইন, নীতি ও প্রাতিষ্ঠানিক পদক্ষেপ তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, এসডিজি বাস্তবায়ন পরিকল্পনার সাথে সমন্বিত করে ধারাবাহিক যে জাতীয় কর্ম পরিকল্পনা এবং জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা করা হয়েছে তাতে মানবপাচার সফলতার সাথে রোধ করা যাচ্ছে। ফাতিমা মানবপাচার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতায় এনজিও, সুশীল সমাজ ও কমিউনিটি ভিত্তিক অন্যান্য সংস্থাসমূহের ভূমিকার কথা স্বীকার করেন।
তিনি শ্রমিক পাচার কমাতে শ্রম অভিবাসন বিষয়ে আঞ্চলিক ও আর্ন্তজাতিক সহযোগিতা জোরদারের আহ্বান জানান। দুদিনের এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে একটি রাজনৈতিক ঘোষণা গৃহীত হয়।
এদিকে, উচ্চ পর্যায়ের এই বৈঠকের পাশাপাশি অস্ট্রিয়া, নাইজেরিয়া, কাতার ও ইউএনডিসিসহ বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন মানবপাচার রোধে অন্য একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক আয়োজন করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন