রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা
চন্দ্রঘোনা থানার নারানগিরি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটের কারণে শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যালয়ে ছাত্র সংখ্যা ৩৪৩ জন, ছাত্রী সংখ্যা ৪১৯ জন। মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৭৬২ জন। গত কয়েক বছর যাবত বিদ্যালয়ে ২৭ শিক্ষকের স্থলে মাত্র ১২ শিক্ষক দিয়ে পাঠদান চলছে বলে জানা গেছে। শিক্ষকের পদ শূন্য আছে ১৫টি। নবম ও দশম শ্রেণীর একাধিক বিভাগে শিক্ষক না থাকায় পাসের হার কমে গেছে। অধিকাংশ ক্লাসের শিক্ষক না থাকায় স্কুলের সার্বিক লেখাপড়া বিঘিœত হচ্ছে। নির্ধারিত বিষয়ের শিক্ষক না থাকায় স্কুলে নিয়ম মাফিক কোন শিক্ষা কার্যক্রম চলছে না বলে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে। জানা গেছে, নারানগিরি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে শিক্ষকের সংখ্যা ৪ জনের স্থলে কর্মরত আছেন ৩ জন। খালি আছে ১ জন। ইংরেজি বিভাগে ৪ জন শিক্ষকের স্থলে ১ জন কর্মরত আছেন। ৩ জন শিক্ষকের শূন্য পদ খালি আছে। গণিতে ৩ জন শিক্ষকের স্থলে আছেন ১ জন। সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে ২ জন আছে। ধর্ম ২ জনের স্থলে ১ জন পেনশনে যাওয়ায় কর্মরত আছেন ১ জন। জীববিজ্ঞান বিভাগে ২ জন শিক্ষকের স্থলে ১ জন কর্মরত আছেন। ব্যবসা শিক্ষা বিভাগে ২ জন শিক্ষক ও ভুগোল বিভাগে কোন শিক্ষক নেই। দুই বিভাগে কোন শিক্ষক নেই না থাকায় আগামী এসএসসি পরীক্ষায় উক্ত বিভাগের শিক্ষার্থীরা ফলাফল খারাপ করার সম্ভাবনা রয়েছে। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে দীর্ঘদিন। বর্তমানে স্কুলের সহকারী শিক্ষক দিয়ে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে প্রশাসনিক কাজ চালানো হচ্ছে। এ ব্যাপারে নারানগিরি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনম আবদুস সবুর আনসারী জানান, শিক্ষক সংকট চলছে দীর্ঘদিন থেকে। স্কুলে গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয়ের শিক্ষক নেই। শতশত শিক্ষার্থী শিক্ষকের সংকটের যাঁতাকলে পড়ে বার্ষিক পরীক্ষা ও এসএসসি পরীক্ষায় ফলাফল খারাপের সম্ভাবনা রয়েছে। স্কুলে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষকের শূন্য পদ পূরণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে ঊর্ধ্বতন মহলে আবেদন করেছেন। শিক্ষক সংকট রোধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে কর্তৃপক্ষ আমাকে আশ্বাস দিলেও এখনো বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। এ ব্যাপারে স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার তারিকুল আলম বলেন, শিক্ষক স্বল্পতায় সার্বিক লেখাপড়ার মান বিঘিœত হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন