শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আদিগন্ত

কাটছে না ক্যাপিটাল মার্কেটের বেহাল দশা

প্রকাশের সময় : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

হারুন-আর-রশিদ : শেয়ারবাজারের ওপর এখন আর জনগণের আস্থা নেই। দেশের শেয়ার কেনা-বেচার অফিসগুলোতে কর্মচারী ছাঁটাই হচ্ছে। অনেক ব্রোকার হাউস ব্যাংকিং স্টাইলে নানা খাত সৃষ্টি করে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের অবিক্রিত লুজিং শেয়ার বিক্রি করে শেয়ারহোল্ডারদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে রাখছেন প্রতিবছর। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা শেয়ারের দাম না ওঠার কারণে তারা শেয়ারগুলো বিক্রি করেননি। তারা ভাবছেন হয়তো দাম উঠবে। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা নতুনভাবে টাকা বিনিয়োগ করতে সাহস পাচ্ছেন না। দাম উঠলে শেয়ারগুলো (বিভিন্ন কোম্পানির) বিক্রি করে পুঁজিবাজার থেকে চিরতরে চলে যাবে এমন ধারণাই পাওয়া গেছে কয়েকটি ব্রোকার হাউসে গিয়ে। শেয়ারহোল্ডারদের মনোভাব আঁচ করতে পেরে ব্রোকার হাউসের মালিক পক্ষ তাদের ব্যালেন্স থেকে তাদেরকে কোনো মেসেজ না দিয়ে টাকা কেটে রাখা একটি অনৈতিক কাজ। দেশের বড় বড় ব্রোকার হাউসের মালিক বড় বড় ব্যাংকিং কোম্পানি। ৩৩ লাখ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর টাকার অংকে এক লাখ কোটি টাকা তারা লুট করে নিয়েছে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে। তাদের ব্যাপারে ব্রোকার হাউসগুলো নীরব। অনেকটা যত দোষ নন্দ ঘোষ। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা বাঁচার তাগিদে পুঁজিবাজারে টাকা বিনিয়োগ করে মনে হয় বড় ধরনের দোষ করেছে। লুটেরাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ও শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের রিপোর্টও পাঁচ বছর ধরে আশার বাণী শোনাতে পারেনি। বাংলাদেশে গরিব মানুষের সাধারণ অপরাধও ক্ষমার অযোগ্য বলে বিবেচিত। অন্যদিকে ধনাঢ্য ব্যক্তিদের সব অপরাধই ক্ষমার যোগ্য বলে বিবেচিত হচ্ছে বলে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল হচ্ছে না।
গত ২৫ জানুয়ারি একটি পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠার লিড নিউজ ছিল ‘দেশের মানুষের আস্থা নেই শেয়ারবাজারে’। প্রতিবছর নতুন নতুন কোম্পানি বাজারে তালিকাভুক্ত হলেও তাতে সূচকের উন্নতি হয়নি। ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর ডিএসইতে লেনদেন উঠেছিল ৩২৫০ কোটি টাকা। আর ২০১৫ সাল শেষে ডিএসইতে দৈনিক গড় লেনদেন নেমে আসে ৪২২ কোটিতে। দীর্ঘ পাঁচ বছর পরও পুঁজিবাজার পুঁজি হারানোর বাজার বলে একবাক্যে উচ্চারণ করছে সবাই। শেয়ারবাজারে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে দেশের এক সময়ের নামিদামি ব্যাংকগুলো। কোনো ব্যাংকই শেয়ারবাজারে ভালো অবস্থানে নেই। শেয়ারের অভিহিত মূল্যেরও (গায়ের দাম) পতন ঘটেছে। মুনাফা কমেছে। দুর্নীতিতে আক্রান্ত বড় ব্যাংকগুলো। কোনো ব্যাংকেই প্রকৃত শাসন ব্যবস্থা নেই। মানুষের আমানতের টাকা ঋণ হিসেবে দিচ্ছে বড় ব্যবসায়ীদের। পরে দেখা যায়, তারাই বড় বড় ঋণখেলাপি। এখানেই ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঋণখেলাপিদের দুর্নীতির যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিজ্ঞমহল মনে করেন। নতুন শেয়ার যেগুলো বাজারে এসেছে এদের অভিহিত মূল্য বা ফেসভ্যালুর চেয়ে কমে গেছে শেয়ারের মূল্য। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) পুনর্গঠন করা হলেও এ কমিশনের ওপর বিনিয়োগকারীদের মোটেও আস্থা নেই। এ অবস্থায় নিয়ন্ত্রক সংস্থার ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে বিএসইসির শীর্ষ পদে পরিবর্তন দরকার।
শেয়ারবাজারে বড় ধরনের দুর্নীতি যে হয়েছে তার প্রমাণ সূচকের ওঠা-নামা। ৫ ডিসেম্বর ২০১০ সালে সূচক ছিল ৮,৯১৯ অর্থাৎ প্রায় ৯ হাজার। সেই সূচক ৩০ এপ্রিল ২০১৩ সালে ৩,৪৩৯ এ নেমে আসে এবং ২৪ জানুয়ারি ২০১৬-তে এসে সূচক একটু বেড়ে দাঁড়ায় ৪,৬২৬। এই সূচকটিও আবার নেমে যাবে বলে শেয়ার বিশ্লেষকরা মনে করছে। এক ধাপে আকাশচুম্বী আরেক ধাপে একেবারে নি¤œমুখী টাকার অংকেও একই অবস্থা বিরাজমান। তাই বলতে হয়, শেয়ারবাজারে চলছে পুকুরচুরির মতো মহাদুর্নীতি।
ডিএসইর সাবেক সভাপতি শাকিল রিজভী বলেছেন, বর্তমান বাজার ক্রেতার জন্য ভালো, বিক্রেতার জন্য নয়। ক্রেতার জন্য ভালো বাজারে পর্যাপ্ত ক্রেতা আসছে কিÑপাল্টা প্রশ্নের উত্তরে শাকিল রিজভী বলেছেন, ‘না, ক্রেতাবান্ধব বাজারেও প্রত্যাশিত ক্রেতা নেই। বাজারে প্রত্যাশিত ক্রেতা না আসার প্রধান কারণ হিসেবে শাকিল রিজভী বলেছেন, আস্থাহীনতার কথা। শাকিল রিজভী নিজে একটি ব্রোকারেজ হাউসের মালিক। আমি মতিঝিল অফিস পাড়ায় অবস্থিত একটি ব্রোকারেজ হাউসে একজন বিনিয়োগকারীকে জিজ্ঞাসা করলাম, শেয়ারবাজার কেমন চলছে? তিনি একবাক্যে বললেন, শেয়ারবাজার এখন চরম এক মানসিক যন্ত্রণার নাম। কারণ এ বাজারে বিনিয়োগ করে নিঃস্ব তিনি। বছরের পর বছর অপেক্ষা করেও হারানো পুঁজি ফিরে পাচ্ছেন না। তাই শেয়ারবাজার থেকে যতটা সম্ভব দূরত্ব বজায় রেখে চলছেন। বর্তমান সরকারের বিগত (১৯৯৬) টার্মে এবং বর্তমান প্রথম মেয়াদে শেয়ারবাজারের যে ধর্ম আমরা দেখেছি তার উত্তরণ দ্বিতীয় মেয়াদে এসেও সুরাহা করতে পারেনি। একইভাবে বলা যায়, ডেসটিনিকে মাল্টি লেবেল মার্কেটিং কোম্পানি হিসেবে ২০০০ সালে বর্তমান সরকারই অনুমোদন দিয়েছিল। আবার বর্তমান সরকার দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে ২০১২ সালের জুন মাসে কোম্পানিটি বন্ধ করে দেয়। প্রশ্নটা হলো, দীর্ঘ ১২ বছর ধরে উক্ত কোম্পানিটি কীভাবে সরকারের নাকের ডগার ওপর বসে ৪৬ লাখ মানুষকে প্রতারিত করে সাড়ে চার হাজার কোটির উর্ধ্বে টাকা হাতিয়ে নেয়। সাধারণ মানুষকে দোষ দিয়ে লাভ কি। তারা বেকার। তাই প্রশাসনে মামু খালু না থাকায় বিকল্প পথ হিসেবে বেছে নিয়েছে শেয়ারবাজার এবং ডেসটিনির মতো গজিয়ে ওঠা শতাধিক এমএলএম কোম্পানিকে। এসব কোম্পানিকে কীভাবে জয়েন্ট স্টক কোম্পানি, বিএসটিআই এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় রেজিস্ট্রেশনের অনুমোদন দেয়? তারা কীভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুমোদন সাপেক্ষে বড় বড় কনভেনশন সেন্টারে সেলিব্রেশনের আয়োজন করে? সম্প্রতি ডেসটিনির মামলা ধীরগতি এবং ডিস্ট্রিবিউটর বা বিনিয়োগকারীদের টাকা ফিরিয়ে দেয়ার অঙ্গীকারনামার কথা দুদকের মামলার নথিতে উল্লেখ থাকাÑএতসব দৃশ্যমান ঘটনা দেশে ঘটে চলছে অথচ সরকার নির্বিকার।
জনগণের পকেট কাটার এমন চরম ঘৃণ্যতম ব্যবস্থার পারমিশন সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতর দিচ্ছে কীভাবে? কীভাবে প্রতারক বলে চিহ্নিত এসব হায় হায় কোম্পানি অনুমোদন পায় তা এখন মানুষের মুখে মুখে শোনা যায়। অনেকে বলছে, সরকারকে ম্যানেজ করে তারা ডান-বামের বা পিরামিডের ব্যবসা শহর বন্দর গ্রামগঞ্জে চালিয়ে যাচ্ছে এবং সাধারণ মানুষকে লাভের কথা, বিদেশে যাওয়ার সুযোগের কথা বলে এসব অবৈধ ব্যবসা করে যাচ্ছে শতাধিক কোম্পানি। এসব ব্যবসাও অনেকটা শেয়ারবাজারের মতো। শিক্ষিত ছেলেমেয়েরা ভালো চাকরি না পেয়ে বা ব্যবসার ঝুঁকি নিতে না পেরে অবশেষে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা ব্রোকারেজ হাউসে এসে সেকেন্ডারি মার্কেট এবং মাল্টি লেবেল মার্কেটিং কোম্পানি বা নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কোম্পানিতে নাম লিপিবদ্ধ করছেন ৫ থেকে ১০ হাজার টাকার পণ্য কেনার মাধ্যমে। সেই পণ্যটি কতটা মানসম্মত বা আদৌ মানসম্মত কিনা তা দেখভালের ব্যবস্থা আছে বলে মনে হয় না। এসব কোম্পানির কোনো বিলবোর্ড নেই। ফ্ল্যাট ভাড়া করে অলিগলিতে তারা এসব ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
শেয়ারবাজারে আস্থার সংকট নেই বলে দাবি করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। ২৫ জানুয়ারি ২০১৬ সোমবার প্রথম আলোতে বাজারের আস্থার সংকট নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিএসইসি এক সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি উত্থাপন করেছে। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সাইফুর রহমান। অথচ ২৫ জানুয়ারি ওই পত্রিকায় শেয়ারবাজারে আস্থার সংকটের প্রতিবেদনের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ও ২০১০ সালের শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা হয়। ওই সাক্ষাৎকারে ইব্রাহিম খালেদ বাজারের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে বিএসইসির চেয়ারম্যান পদে পরিবর্তন দরকার বলে মত দিয়েছেন। সোমবার ২৫ জানুয়ারি এবং মঙ্গলবার ২৬ জানুয়ারি দুই বাজারে সূচক কমেছে। কয়েক বছর ধরে চলমান মন্দার কারণে দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা। এ কারণে তারা দীর্র্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছেন না। বর্তমানে অধিকাংশ বিনিয়োগকারী ‘ডে ট্রেডার’-এর ভূমিকায় রয়েছেন। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা ‘ডে ট্রেডার’-এর মতো আচরণ করছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন। বাজারে স্থিতিশীলতা না থাকার কারণেই এমন ঘটনা প্রতিদিন ঘটছে। মাঝেমধ্যে স্বল্প সময়ের জন্য বাজারে কিছু গতি ফিরে এলেও তা ৪-৫ দিনের বেশি স্থায়ী হচ্ছে না। এ ধরনের বাজারকে কোনোভাবেই স্থিতিশীল পুঁজিবাজার হিসেবে আখ্যায়িত করা যায় না। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিও আবেদনের পরিমাপ দিয়ে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থাকে নিয়ন্ত্রক সংস্থা যেভাবে সংজ্ঞায়িত করছে তা পুরোপুরি ভুল সংজ্ঞা। আইপিওতে কতগুণ বেশি আবেদন জমা পড়ল, তা দিয়ে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের আস্থা পরিমাপ করা সম্ভব নয়।
ব্রোকারেজ হাউসের পিয়নরাও বলছে, আগে ভালো নাস্তা দিত বিনিয়োগকারীদের। এখন একটি বিস্কুট ও লিকার চা দিয়ে বিদায় দিচ্ছে। ছোটখাটো কর্মচারীদের চেহারা মলিন। তারা বলছে, মনে হয় চাকরি থাকবে না। লেনদেন কমে গেলে কীভাবে বেতন দেবে। বহু ব্রোকারেজ হাউস থেকে চাকরি ছাঁটাই চলছে। এভাবে আর কতদিন অফিস ভাড়া দিয়ে চলা যাবে তাই ব্রোকারেজ হাউসের মালিক কর্মচারী ছাঁটাই করছেন। ৩৩ লাখ বিনিয়োগকারী প্রায় এক লাখ কোটি টাকা ক্যাপিটাল মার্কেটে বিনিয়োগ করেছিল। টাকা হারিয়ে কেউ কেউ আত্মহত্যা করেছিলেন ২০১০ ও ২০১১ সালে। অনেকে হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। আন্দোলন করতে গিয়েও কয়েকজন নির্যাতিত হয়েছেন অনেকে। এখন কেউ রাস্তায় নামতে সাহস পান না।
বিএনপি যেখানে গণতন্ত্রের ফেরিওয়ালার ভূমিকা পালনে রাস্তায় নেমেছিল তাদের সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে হাজার হাজার মামলায় তাদের মুখ বন্ধ করে দেয়া হয়। অধিকার সচেতনের কথা তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয় প্রায় সময়। কিন্তু নিজের অধিকার দাবির কথা বললেই পুলিশের বেদম প্রহার শুরু হয়। শুধু গণতন্ত্র নয়, কারোরই কোনো ব্যাপারে কথা বলার অধিকার নেই। শুধু অধিকার রয়েছে সরকারি দলের সমর্থকদের। তারা সভা, মিটিং-মিছিল, সবকিছুই করতে পারবে। কোনো অনুমোদনও লাগবে না। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশি কোনো অ্যাকশন থাকবে না, তাদের মামলা-হামলার ভয় নেই। এদেশে সবাই যদি আওয়ামী লীগ সমর্থক হয়ে যায়, তাদের নীতির প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেনÑ তা হলে কথা বলার অধিকার, চলার অধিকার, সুযোগ-সুবিধা অর্জনের অধিকার আপনার ভাগ্যে জুটবে। সরকার নিজেকে আরও শক্ত করার জন্য নতুনভাবে ৫০ হাজার পুলিশ নিয়োগ দেবে। ধরেই নেয়া যায় যে, সেই নিয়োগ হবে দলীয় নিয়োগ। বহু প্রতিষ্ঠানে ছাঁটাই চলছে কিন্তু পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, আনসার এসব বাহিনীতে কোনো ছাঁটাই নেই। বরং নতুনভাবে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। বেতন-ভাতা ডাবল করা হয়েছে। কিন্তু এভাবে আর কতদিন? জনগণের হৃদয়ের ভাষা তো সরকারকে আজ হোক, কাল হোক বুঝতেই তো হবে। আর সেটা দ্রুতই হবেÑএটাই প্রত্যাশা সাধারণ মানুষের।
 লেখক : গ্রন্থকার, গবেষক ও কলামিস্ট
যধৎঁহৎধংযরফধৎ@মসধরষ.পড়স

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন