শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ছেলে-মেয়ের পর চলে গেলেন বাবাও

মুন্সিগঞ্জে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৫ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০২ এএম

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার মুক্তারপুরে একটি ভাড়া ফ্ল্যাটে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ ছেলে-মেয়ের পর বাবাও মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ মা শান্তা বেগম (৩৮) আশঙ্কাজনক অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার শরীরের ৪৮ শতাংশ পুড়ে গেছে। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কাউসার খান (৪২) মারা যান। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল তিনজন। তার শরীরের ৫৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। গত বৃহস্পতিবার কাউসার খানের ছেলে ইয়াসিন খান (৫) ও মেয়ে নহর খান মারা যান।

নিহত কাউসার খানের ভগ্নিপতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ বলেন, শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কাউসার মারা গেছে। শান্তার অবস্থাও ভালো না।
তিনি আরও বলেন, গত বৃহস্পতিবার ভোরে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় চারজনকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনা হয়। আমরা খবর পেয়ে দ্রুত আসি। দুপুরের পর ইয়াসিন ও নহরের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাদেরকে আইসিইউতে রাখা হয়। বিকেলে অবস্থা আরও খারাপ হলে দুজনকেই লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। রাত পৌনে ৮টার দিকে নহর ও সাড়ে ৯টার দিকে ইয়াসিন মারা যায়। কাউসার ও শান্তার অবস্থাও ভালো ছিল না। তারপরও বারবার দুজনেই সন্তানদের কথা জিজ্ঞেস করছিল। সন্তানদের মারা যাওয়া ও দাফনের বিষয়টি তাদের জানাতে পারিনি। নিহত কাউসার খান আবুল খায়ের গ্রুপে রিভার ট্রান্সপোর্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করতেন। তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায়। চাকরির সুবাদে তিনি পরিবার নিয়ে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার পশ্চিম মুক্তারপুর এলাকার একটি তিনতলা বাড়ির দুই তলায় ভাড়া থাকতেন।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে কাউসার খানদের বাড়িতে বিকট শব্দ হয়। শব্দে আশপাশের মানুষ ভয়ে আঁতকে ওঠেন। ঘরের জানালা ভেঙে যায়। কাউসারদের ঘরের সবাই চিৎকার করছিলেন। পরে লোকজন বের হয়ে দেখতে পান, কাউসারদের বাড়িতে আগুন জ্বলছে। তখন ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়। তবে ফায়ারের লোকজন আসার আগেই প্রতিবেশীরা সেখানে গিয়ে পানি দিয়ে আগুন নেভান।
কাউসারের প্রতিবেশী শাহ সিমেন্টের মেশিন অপারেটর আবদুস সামাদ বলেন, বিস্ফোরণের শব্দ শুনে কাউসার খানের বাসায় গিয়ে দেখি, তাদের ঘরের ভেতর আগুন জ্বলছে। আমরা দরজায় ধাক্কা দেই। কাউসার খান নিজেই দরজা খোলেন। আমরা চারজনকে দগ্ধ অবস্থায় বের করি। দ্রুত তাদের ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়া হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন