অশালীন ও শিষ্টাচারবহির্ভূত বক্তব্যের জেরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানো ডা. মুরাদ হাসানের বিষয়ে সর্তক ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে দেশের সকল বিমানবন্দর ও স্থল বন্দরের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে ডা. মুরাদ হাসান দেশের বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করলে দ্রুত সরকারের উচ্চ পর্যায়ে অবহিত করার। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
স্পেশাল ব্র্যাঞ্চের (এসবি) একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা মঙ্গলবার দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, বেশ কিছু দিন ধরে বিভিন্ন বিষয়ে বিতর্কিত বক্তব্য এবং কর্মকান্ডের কারণে ডা. মুরাদ সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার কিছু অডিও-ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় দেশজুড়ে নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় বইছে। সব কিছুই আমাদের নজরে রয়েছে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশ ব্যতীত তিনি যেন দেশের বাইরে যেতে না পারেন সে জন্য ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ সর্তক। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের সকল ইমিগ্রেশনে এরই মধ্যে মৌখিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তিনি দেশের বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করলে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের অনুমতি নেয়ার।
এক প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, ডা. মুরাদ দেশের বাইরে যেতে পারেন এমন কোন তথ্য এখনও আমাদের কাছে নেই। কিন্তু এ ধরণের পরিস্থিতিতে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ অতীতের ঘটনার মতোই সর্তক বলে ওই কর্মকর্তা মন্তব্য করেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে মুরাদ হাসান লেখেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্ব-শ্রদ্ধেয় সালাম নেবেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের গত ১৯ মে ২০২১ তারিখের স্মারকমূলে আমাকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। আমি আজ ৭ ডিসেম্বর ২০২১ সাল থেকে ব্যক্তিগত কারণে স্বেচ্ছায় প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করতে ইচ্ছুক। এমতাবস্থায়, আপনার নিকট বিনীত নিবেদন, আমাকে অদ্য ৭ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখ থেকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার লক্ষ্যে পদত্যাগপত্র গ্রহণে আপনার একান্ত মর্জি কামনা করছি। পদত্যাগপত্রে ভুল লিখেছেন মুরাদ। ২০১৯ সালে তাকে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হলেও পত্রে তিনি ২০২১ উল্লেখ করেন। মুরাদ হাসান জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী উপজেলা) আসনের সংসদ সদস্য।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন