নীলফামারীর সৈয়দপুরে ফয়সাল (২৮) নামে দুই সন্তানের জনকের বিরুদ্ধে দশ বছরের শিশুকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। শিশুটির বাবা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবারই (৯ ডিসেম্বর) থানায় মামলা করেছেন। ধর্ষণের শিকার শিশুটির বাসা গোলাহাট এলাকায় এবং সে স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী।
এদিকে অভিযুক্ত ওই এলাকার যুবক নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। প্রতিবেশিরা এ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করায়। বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে শহরের গোলাহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ফয়সাল ওই এলাকার নাঈম হোসেনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন শহরের গোলাহাট এলাকার ফয়সালের স্ত্রী বাসায় ছিলেন না। তিনি বিয়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের বালাপাড়া গ্রামে বাবার বাড়িতে যান। এ সুযোগে ফয়সাল মেয়েটিকে রাস্তা থেকে কৌশলে তাঁর বাড়িতে ডেকে আনেন। লোকজন যাতে বুঝতে না পারে সেজন্য ধর্ষক বাইরে থেকে বাড়ির গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয়। পরে শিশুটিকে নিয়ে বাড়ির ঘেরা বাঁশের বেড়া খুলে বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণ করে।
স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে এবং যুবককে বাড়ির ভিতরে আটকে রাখেন। এরপর ওই যুবক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করায়।
সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তৃব্যরত চিকিৎসক মামুনা আক্তার জানান, তাঁকে অক্সিজেন দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি আশংকামুক্ত।
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ভিকটিমকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য নীলফামারী আধুনকি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন