নোয়াখালী সদর উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচারণাকালে আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও স্বতন্ত্র (আ.লীগ বিদ্রোহী) আনারস প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৩জন আহত হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে নির্বাচনী কার্যালয় ও প্রচার গাড়ী। খবর পেয়ে পুলিশি গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। ঘটনার জন্য দুই প্রার্থী একে অন্যকে দায়ী করছেন।
শুক্রবার রাতে ৬নং ওয়ার্ড হুগলি গ্রামের সেলিমের দোকান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে স্থানীয় হুগলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে একটি পথসভার আয়োজন করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন দেলু। সভার সমর্থনে বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে খলিফারহাট বাজার থেকে একটি মিছিল নিয়ে সভারস্থলে আসর উদ্দেশ্যে বের হয়। বিকেল ৫টার দিকে মিছিলটি হুগলি গ্রামের সেলিমের দোকান সংলগ্ন স্বতন্ত্র আনারস প্রতীকের প্রার্থী মিজানুর রহমান শিপনের নির্বাচনী অফিসের সামনে আসলে উভয় পক্ষের নেতাকর্মীরা মুখোমুখি হয়। এসময় একে অন্যকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও পরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়, ভাঙচুর করা হয় স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস এবং কয়েকটি অটোরিকশা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান শিপন বলেন, বিকেলে সেলিম বাজার এলাকায় আমার আনারস প্রতীকের নির্বাচনী অফিসে ১০-১২জন কর্মী-সমর্থক বসে নির্বাচনের প্রচারণার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এসময় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন দেলুর লোকজন মিছিল নিয়ে আমার অফিসের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় অফিসে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এসময় আমার কর্মী-সমর্থকরা বাধা দিতে গেলে তাদেরকে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করে মারধর করে। পরে তারা অফিসে থাকা চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর ও আনারস প্রতীকের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে। ভাঙচুর শেষে যাওয়ার সময় তারা নেতাকর্মীদের বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দিয়ে যায়। এ হুমকিতে আমি এবং আমার কর্মী সমর্থকরা শঙ্কিত। এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনায় নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
ঘটনার বিষয়টি অস্বীকার করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন দেলু জানান, বিকেলে হুগলি স্কুলের সামনে আমার নৌকা প্রতীকের একটি পথসভা ছিলো। নেতাকর্মীরা একটি মিছিল নিয়ে সভাস্থলে যাওয়ার পথে আনারস প্রতীকে অফিস থেকে তাদের লোকজন মিছিলে হামলা চালায়। এসময় তারা আমার ৬ জন নেতাকর্মীকে পিটিয়ে জখম করে এবং কয়েকটি অটোরিকশা ভাঙচুর করেছে। বিষয়টি থানায় জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সুধারাম মডেল থানার ওসি সাহেদ উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থরে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কোন পক্ষ আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেনি।
দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা মাসুমা আক্তার জানান, বিষয়টি সুধারাম মডেল থানার পুলিশের মাধ্যমে আমরা অবগত হয়েছি।ঘটনাস্থলে আমাদের টিম পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন