পরিচয় সূত্রে সাবলেট হিসেবে রুম ভাড়া নেন এক কলেজ ছাত্রী। অভিযুক্ত এএসআই’র স্ত্রী রোকেয়ার ভাই হাফিজুর রহমান মাঝে মধ্যে বোনের বাসায় আসা যাওয়া করতো। ওলিউল্লাহ ও রোকেয়া ভিকটিমের সাথে হাফিজুরকে অবিবাহিত বলে পরিচয় করে দেন। এরপর ভিকটিম ও হাফিজুরের মধ্যে বন্ধুত্ব সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা এক সাথে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করেন। বন্ধুত্বের সুবাদে হাফিজুর রহমান ভিকটিমকে কুপ্রস্তাব দেন। ভিকটিম তা প্রত্যাখ্যান করেন।
এরপর বিভিন্ন সময়ে হাফিজুর রহমান ভিকটিমকে বিভিন্নভাবে প্ররোচনা দিয়ে শারীরিক সম্পর্কে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন। ভিকটিম অতিষ্ঠ হয়ে হাফিজুরকে বলেন বিয়ে করতে। হাফিজুর এতে রাজি হয়। তবে বিয়ের বিষয়টি পরিবারকে জানাতে বারণ করে। এতে ভিকটিম প্রথমে রাজী না হলেও পরবর্তীতে আসামির প্রতি ভালোবাসা ও প্রতি দুর্বলতার কারণে রাজী হয়।
বিয়ের রেজিস্ট্রির কথা বলে হাফিজুর ভিকটিমের কাছ থেকে দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি নেয়। গত ২১ মার্চ একটি হলফনামা তৈরি করে হাফিজুর দাবি করে ভিকটিমের সাথে তার বিয়ে হয়েছে। ৬ লাখ টাকার একটি কাবিননামাও দেখায়। পরে ভিকটিম হাফিজুর একত্রে বসবাস করতে থাকেন। বিয়ের বিষয়টি ওলিউল্লাহ ও রোকেয়াকে জানালে তারা নীরব ভূমিকা পালন করে।
৬ নভেম্বর ভিকটিম হাফিজুরের সাথে যোগাযোগ করে। তখন হাফিজুর ভিকটিমকে জানায়, তাকে সে বিয়ে করেনি। মিথ্যা হলফনামা করে ধর্ষণ করেছে। আগের বউ বাচ্চার কথাও জানায় সে। পরবর্তীতে গত ১২ নভেম্বর ওলিউল্লাহ ও রোকেয়াও একই কথা জানায়। ভিকটিমকে ওই দিন বাসা থেকে বের করে দেয়।
নিরুপায় হয়ে ভিকটিম শ্যালককে ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে স্ত্রীসহ তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার এএসআই ওলিউল্লাহ সরকারের (সোহেল) বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রোববার (১৯ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম তামান্না ফারাহ’র আদালতে এক কলেজছাত্রী মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অপর দুই আসামি হলেন- ওলিউল্লাহ সরকারের স্ত্রী রোকেয়া ওরফে রুনা ও শ্যালক হাফিজুর রহমান মেহেদী।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ‘আদালত পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ২৬ জানুয়ারি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন