চতুর্থ দফার চারঘাট উপজেলার বেলঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে গত রবিবার ভোট শেষে ফলাফল ঘোষণার ফলাফল নিয়ে রহস্যজনক ঘটনা ঘটেছে। ফল ঘোষনার সময় মেম্বার প্রার্থী রিংকু আহমেদকে ফেল ঘোষনা করা হয়। এতে তার সমর্থকরা বিক্ষোভ শুরু করলে পুনরায় ভোট গননা শুরু হয়। পূনগননায় রিংকু আহমেদকে বিজয়ী ঘোষনা করা হয়। এ ব্যাপারে প্রিজাইডিং অফিসার বলেছেন, ভোটের এক বান্ডিল ব্যালট পেপার টেবিলের নিচে পড়ে থাকায় তাদের এই ভুল হয়েছে । পরে টেবিলের নিচে সেগুলো পাওয়ায় পর পুনরায় ভোট গননায় এই ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ফলাফল ঘোষনা শেষে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা বলেন এটি ভুল নয়। এটি কারচুপির অসৎ উদ্দেশ্যে তা করা হয়েছে। কর্মীরা আন্দোলন না করলে তা ফের গনণা হতোনা।
ইউসুফপুর কেন্দ্রে মেম্বার প্রার্থী মোরগ প্রতিকের আবু তালের ভোট শূন্য বলে ঘোষনা করা হয়। এমন ফলাফলে তিনি অবাক হন। প্রশ্ন করেন তাহলে আমার নিজের ভোটটি গেল কোথায়। তিনি এই ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার।
এদিকে এ ঘটনায় ফুঁসে ওঠেন তার কর্মী-সমর্থকরা। তারা ওই কেন্দ্র ঘেরাও করে আবারও ভোট গণনার দাবিতে শুরু করেন বিক্ষোভ। পরে পুলিশ কয়েক দফায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এরপর আবু তালেবের ভোট আবারও গণনা শুরু করেন সংশ্লিষ্ট প্রিসাইডিং অফিসার। এবার দ্বিতীয় দফায় গণনা শেষে তিনি ৮২ ভোট পেয়েছেন বলে জানানো হয়। যদিও আবু তালেব ও তার কর্মী-সমর্থকরা এই ফলাফল মেনে নেননি। তারা ভোট কারচুপির অভিযোগ করেন এবং এর সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে স্লোগান দেন এবং বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর চারঘাট উপজেলার ইউসুফপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার পদপ্রার্থী আবু তালেবের দাবি, সব ভোটের সঙ্গে নিজের ভোটটিও চুরি হয়ে গেছে। এজন্য তিনি প্রতিপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনকে দায়ী করেন।
ঘটনার পর নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, গণনার সময় ভোটের কিছু ব্যালট পেপার টেবিলের নিচে পড়েছিল। যে কারণে ভোট গণনার সময় এই ভুল হয়েছিল। পরে টেবিলের নিচে সেগুলো পাওয়ার পর পুনরায় গণনা করে তাৎক্ষণিকভাবে ফল ঘোষণা করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন