ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নৌকার অফিসে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে বিদ্রোহীের বিরুদ্ধে। হামলায় আহত হয়েছে নৌকার ছয় কর্মী। রোববার রাতে ওই হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। তবে এঘটনায় দু'পক্ষই মামলা দায়ের করা করেছে।
জানা যায়, সপ্তম ধাপের ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে ১নং ঈশ্বরগঞ্জ ইউনিয়নে নৌকা ও বিদ্রোহী প্রার্থী সমর্থকদের মধ্যে দিন দিন উত্তেজনা বাড়ছে। প্রতিদিনের মতো সারাদিন নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা করে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরার পথে খৈরাটি ও আশ্রবপুর গ্রামে অতর্কিত ভাবে নৌকা প্রতীকের উপর বিদ্রোহী প্রার্থী হারিছ উদ্দিনের চশমা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকরা হামলা চালায়। ওই সময় নৌকার ৬জন কর্মী মারাত্মক আহত হয়। হামলায় আহতরা হলেন, জাহাঙ্গীর (৩৫), সাকিব (২৫), শহীদ (৩৫), জালাল (৩৫), সোহেল (২৪) ও রাসেল (২২)। একই সময় সঞ্চাপুর ও আশ্রবপুর গ্রামে নৌকা প্রতীকের দু’টি অফিসে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয়। এসময় অফিসের সামনে থাকা অন্তত ৭টি মোটর সাইকেল ভাংচুর করা হয়। অফিস সংলগ্ন একটি মুদি দোকানেও ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়।
আশ্রবপুর গ্রামের ফজলুল হক বলেন, আমার বাড়িতে নৌকার অফিস করায় চশমা প্রতীকের হারিছ উদ্দিনের লোকজন নৌকার অফিস ভাংচুর করে। এসময় পাশে থাকা আমার একটি মুদি দোকান লুট করে নেয়।
এঘটনায় বিদ্রোহী প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হারিছ উদ্দিনের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি এবিষয়ে কোন মন্তব্য করত রাজি হননি।
আওয়ামীলীগ নৌকা মনোনীত প্রার্থী আবু হানিফা বলেন, নির্বাচনে পরাজয়ের আশঙ্কায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে নৌকার বিদ্রোহী সমর্থকরা। নৌকার নির্বাচনী মাঠ ধ্বংসের চেষ্টার অংশ হিসেবে ওই হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় আমার ছয় কর্মীকে মারাত্মক ভাবে আহত করা হয়েছে ও দু’টি অফিস ভাংচুর করা হয়েছে। আমি নৌকার কর্মী ও সমর্থকদের শান্ত থাকতে বলেছি। এ বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল কাদির মিয়া বলেন, দু’জন প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা হলে পুলিশ তাৎক্ষনিক তা নিয়ন্ত্রণ করে। এখন পরিবেশ শান্ত রয়েছে। এঘটনায় উভয় পক্ষের মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন