ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ‘ভোট কারচুপিতে বাঁধা দেয়ায়’ হামলার শিকার হয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। রবিবার বেলা ৩টার দিকে মাদারীপুর রাজৈর উপজেলার ইশিবপুর ইউনিয়নের গাংকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আপন মামার নির্বাচনে এসে হামলার শিকার হন তিনি। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়েছে তোলপাড়।
অভিযোগ করে ডাকসুর সাবেক জিএস গোলাম রাব্বানী সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচনে মোশারফ মোল্লার লোকজন প্রকাশ্যে ভোট নেয়ার চেষ্টা করেছিল। পরে আমিসহ কিছু লোক গিয়ে বিষয়টি জানার চেষ্টা করলে আমাকে অস্ত্র দিয়ে কোপ দিলে ঠেকাতে গিয়ে হাত কেটে যায়। পরে তাদের লোকজন আমাদের শারিরীকভাবে আহত হয়।’
এ বিষয়ে দিপু মাঝি ফেইসবুকে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডাকসুর সাবেক জিএস আমার ভাই আমার অভিভাবক, গোলাম রাব্বানী ভাইয়ের উপর ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। হামলাকারীদের খুব দ্রুত আইনের আওতায়এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
এমডি ইয়াসিন দিপু লিখেছেন, ‘এদের দেখে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের শিক্ষা নেয়া উচিত, পদ-পদবী পেয়ে মানুষের সাথে অমানুষের মত ব্যবহার করবেন যখন পদ-পদবী থাকবে না তখন গণেশ উল্টেও যেতে পারে।’
সহমর্মিতা জানিয়ে মাহমুদ হাসান লিখেছেন, ‘নীতি-আদর্শ বিবর্জিত, লাগামহীন স্বেচ্ছাচারী এবং মানুষ ও মানবতা বিচ্ছিন্নরা স্বার্থের দ্বন্দ্বে পাশবিকতাকেও হার মানায়। তখন কেউ দেখে না দলের মাঝে কার কী অবদান ছিলো। পরিণতি যা হওয়ার কথা ছিলো তাই হয়েছে। তবে নাগরিক এবং মানুষ হিসেবে কিছুটা সহমর্মিতা থাকলো গোলাম রাব্বানীর প্রতি।’
ইমরান হোসাইন লিখেছেন, ‘বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ইশিবপুর ইউপির ৭ নম্বর ভোটকেন্দ্রে এলে তিনি কেন্দ্রের লাইনে থাকা কয়েকজন জাল ভোটারকে ধরেন। কি বুঝলেন নির্বাচন নিয়ে দলের মধ্যেও অসন্তুষ্ট!’
রফিকুল ইসলাম লিখেছেন, ‘আগে বিএনপিসহ বিরোধীরা অভিযোগ করতো। আর এখন খোদ দলের লোকজন কারচুপির অভিযোগ করছে। দেশে আসলেই নির্বাচন বলে কিছু নেই। আছে শুরু লীগের দলীয় মহড়া।’
খবরটি শেয়ার করে ক্যাপশনে সাইদুর রহমান লিখেছেন, ‘এবার বুজুন গোলাম রব্বানীর যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে বিএনপি বা অন্য কারো কি অবস্থা হচ্ছে!’
উদ্বেগ প্রকাশ করে আরাফাত রহমান লিখেছেন, ‘রব্বানী-মুরাদ থেকে অন্যদের অনেক কিছু শেখার আছে। ক্ষমতা চিরকাল থাকবে না। আরেকটা কথা দেশে এখন দেশে নির্বাচন বলে কিছু নেই, শুধুই ক্ষমতার লড়াই; যেখান জনগণের কোন অংশগ্রহণ নেই।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন