চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ব্যাপক সংঘাতে শিশুসহ দুইজনের প্রাণহানির মধ্য দিয়ে ভোট শেষ হলেও এখনো থামেনি সহিংসতা। আত্বীয়ের বাড়িতে দাওয়াত খেতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন কাঞ্চনায় নৌকার টিকিটে জিতে আসা রমজান আলী। মঙ্গলবার রাতে কাঞ্চনা মাদ্রাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ফরহাদ নামে এক যুবককে আটক করেছে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন তিনজন। আহতরা হলেন, কাঞ্চনা ৬ নম্বর ওয়ার্ড খন্দকরা পাড়ার আহমদ কবিরের ছেলে আব্বাস উদ্দীন এবং একই এলাকার ফোরক চেয়ারম্যান বাড়ির আব্দুল মালেকের ছেলে কামরুল (৪৫) এবং নুরুল কবিরের ছেলে মো. ইব্রাহিম (৩০)। হামলার শিকার চেয়ারম্যান রমজান আলী বলেন, সন্ধ্যায় আমার ভায়েরা ভাইয়ের বাড়িতে দাওয়াত খেতে যাই। সেখান থেকে ফেরার পথে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা বিদ্রোহী প্রার্থী মাঈন উদ্দিন হাসানসহ বেশ কয়েকজন আমাকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। তাৎক্ষণিক আমি পিছু হটে গেলেও আমার সঙ্গে থাকা তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়। তাদের উদ্ধার করে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পরপর পুলিশ ফরহাদ নামে একজনকে আটক করেছে।
সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডা. আব্দুল আহাদ বলেন, কাঞ্চনায় গুলিবিদ্ধ চারজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। কারো মুখে, কারো পেটে, আর কারো ঘাঁড়ে গুলি ঢুকে যায়। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কাঞ্চনায় ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলার খবর পেয়ে পুলিশের ফোর্স পাঠানো হয়। সেখান থেকে একজনকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিস্তারিত জানানো যাবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন