উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের চিলমারীতে শীত জেঁকে বসেছে। গত তিন দিনে শৈত্য প্রবাহ ও ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো ফুটপাতে শীতের কাপড় ক্রয়ের জন্য ভিড় জমাচ্ছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে এলাকা ঢাকা থাকছে। দুপুরের সুর্যের দেখা মিললেও তাও আবার রোদের তাপমাত্রা খুবই কম। বিশেষ করে পাউবো বাঁধে ও চরাঞ্চলের লোকজন অর্থাভাবে শীতের কাপড় কিনতে না পেরে অতি কষ্টে দিনাতি পাত করছে।
খেটে খাওয়া মানুষ ঠান্ডা বেশী হওয়ার কারনে কাজে যেতে পারছেন না। কুয়াশার কারনে হাঁস-মুরগী বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। ইরি বোরোর বীজতলা লালচে বর্ণ হয়ে মরে যাচ্ছে। বৃদ্ধ ও শিশুরা ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভিড় করছে। রমনা মডেল ইউনিয়নের পাউবো বাঁধে
আশ্রিত আব্দুল মান্নান(৭৪) জানান, শীত বেশি হওয়ায় অর্থাভাবে গরম কাপড় কিনতে না পারায় পরিবার পরিজন নিয়ে অতি কষ্টে দিনাতিপাত করছি। থানাহাট ইউনিয়নে থানাহাট বাজারের পুরান কাপড় বিক্রেতা রেজাউল করিম জানান শীতের কারনে গরম কাপড় বেচা-কেনা বৃদ্ধি পেয়েছে। একই ইউনিয়নের গাবের তল এলাকার ট্রাক্টর শ্রমিক মোকছেদ মিয়া জানান, পুরাতন কাপড় কিনে কোন রকমে শীত নিবারনের চেষ্টা করছি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পি আইও) ( অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো: সিরাজুদ্দৌলা বলেন, চিলমারী উপজেলায় এপর্যন্ত ২ হাজার ৮ শত ১৫ টি কম্বল মানুষের মাঝে বিতরন করা হয়েছে।
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, আজ মঙ্গলবার কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকড করা হয়েছে। রংপুরে বৃষ্টিপাত হতে পারে এবং তাপমাত্রা কমে আসতে পারে। চিলমারীতে শ্রমিক ও দিনমজুররা গরম কাপড় কিনতে না পারায় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন