জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, গণতন্ত্র না থাকার প্রধান কারণ হচ্ছে সংবিধান। সাংবিধানিকভাবে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সংবিধানে অনেক পরিবর্তন করা হলেও গণতন্ত্র চর্চার সুযোগ সৃষ্টির ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। গণতন্ত্র চর্চার সহায়ক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্বল থেকে দুর্বলতর করে প্রায় ধ্বংস করা হয়েছে। গতকাল দলের ৩৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
জিএম কাদের বলেন, প্রশাসন ও আইনশৃংখলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা ভোট ডাকাতি ও অব্যবস্থাপনায় জড়িয়ে যাচ্ছে। এটা জাতির জন্য লজ্জাজনক। ভিন্নমতের লোকদের মাঠে দাঁড়াতে দেয় না ক্ষমতাসীনরা। ক্ষমতার জোরে বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় জয়ী হতে চায়। কোথাও কোথাও প্রশাসনের সহায়তায় কুলষিত করা হচ্ছে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে। এক সময় নির্বাচন ছিল উৎসবমুখর এখন নির্বাচন হচ্ছে ভয় ও আতঙ্কের নাম।
সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, এরশাদ ক্ষমতায় থাকার জন্য পার্টি গঠন করেননি। গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য পার্টি গঠন করেছিলেন। জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেন, আমরা কারো নেতৃত্বে জোটে যাবো না। জিএম কাদেরের নেতৃত্বে যদি কেউ আসে তখন ভেবে দেখবো। জনগণ চায় জাতীয় পার্টি ৩’শ আসনে প্রার্থী দিয়ে ক্ষমতায় আসুক। কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি বলেন, সেøাগান দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়া গেলে বিএনপি অনেক আগেই ক্ষমতায় যেতো। সেøাগান দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়া যায় না। সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা তার বক্তব্যে বলেন, জাতীয় পার্টি প্রতিহিংসার রাজনীতি করেনা, করে উন্নয়নের রাজনীতি। এরশাদ শাসনামলের উন্নয়নের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, অ্যাড. শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন প্রমূখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন