বগুড়া-৪ আসনের উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন হিরো আলম নামে পরিচিত আশরাফুল হোসেন আলম। কিন্তু তার কাছে দলীয় মনোনয়ন ফরমই বিক্রি করেনি জাপা। লাঙল প্রতীক নেওয়ার জন্য জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে গিয়ে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে হিরো আলমকে।
বিষয়টি জানিয়ে সংবাদমাধ্যমকে হিরো আলম বলেন, ‘আমি বারবার ফোন করে গিয়েছি। আমাকে বলা হয়েছে আসুন। আমি যখন গেলাম, আমাকে ফরম দেওয়া হলো না। নানা কারণ দেখাল। পরে আমি জানতে পারছি আমাকে তারা ফরম দেবে না।’
কেন দেবে না? এমন প্রশ্নের জবাবে আলম বলেন, ‘জানি না তারা কেন আমাকে ফরম দিতে চায় না। একবার বলে আমি সদস্য না, আরেকবার বলে ফরম দেওয়ার সময় শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু আমি দপ্তর সম্পাদক রাজ্জাক সাহেবের সঙ্গে ফোনে কথা বলে গিয়েছি।’
তবে একটি সূত্র বলছে, হিরো আলমকে ‘ভাঁড়’ উল্লেখ করে তার কাছে ফরম বিক্রি করা থেকে বিরত থেকেছে পার্টি।
জাপার দপ্তর সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক খান গণমাধ্যমকে বলেন, দলীয় মনোনয়ন ফরম শুধুমাত্র দলের নেতাকর্মীদের কাছে বিক্রি করা হবে। তারপর যাচাইবাছাই করে যোগ্য ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেবে। হিরো আলম জাপার কেউ নন। তাই তার কাছে ফরম বিক্রি করা হয়নি।
তবে হিরো আলমের দাবি, তিনি ২০১৮ সালে জাপায় যোগ দিয়েছেন। একাদশ সংসদ নির্বাচনে জাপার মনোনয়ন ফরমও কিনেছিলেন। তবে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের ভোটে। এবারও তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন।
এ বিষয়ে আবদুর রাজ্জাক বলেন, হিরো আলম কবে দলে যোগ দিয়েছিলেন, তিনি জাপার কর্মী কিনা, এমন তথ্য নেই। আর যোগ দিয়ে থাকলেও গত চার বছরে দলের সঙ্গে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না। তাই তাকে ফরম দেয়া হয়নি।
উল্লেখ্য, বিএনপির এমপিদের পদত্যাগে শূন্য সংসদের পাঁচটি আসনের উপনির্বাচন হবে ১ ফেব্রুয়ারি। তফসলি অনুযায়ী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) সংসদীয় আসনের বিএনপির সংসদ সদস্য মো. মোশারফ হোসেনের পদত্যাগের পর থেকেই ওই এলাকায় উপনির্বাচনের হাওয়া লেগেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন