বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নিবন্ধ

চিঠিপত্র : প্রত্যেক বৃহত্তর জেলা হেডকোয়ার্টারে প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড স্থাপন করা হোক

প্রকাশের সময় : ১ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশ উন্নত করতে হলে সুশিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। সুশিক্ষাই জাতীয় উন্নতির চাবিকাঠি। প্রাথমিক শিক্ষাই হলো সকল শিক্ষার মূল ভিত্তি। সে জন্য প্রাথমিক স্তরেই ছেলেমেয়েদের অন্তরে আদব-লেহাজ, সততা, ধার্মিকতা, ভদ্রতা, ন¤্রতা ও ইসলামিক মনোভাব ইত্যাদির বীজ বপন করে দিলে যথাসময়ে সন্তানদের জীবনে ফুলে-ফলে সুশোভিত হয়ে তাদের নিজের জীবন ও মাতা-পিতার মুখ উজ্জ্বল করে রাষ্ট্রের উন্নতি করতে সক্ষম হবে। ফলে কোনো ছাত্রই নীতি ও সমাজবিরোধী কোনো কার্যকলাপে জড়িত হবে না এবং দেশে অবশ্যই শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে। তাই সরকারকে প্রাথমিক শিক্ষার প্রতি তীক্ষè নজর রাখতে হবে। এতে করে দেশ সার্বিক উন্নতির চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছাতে পারবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
বর্তমানে দেশে নি¤œমাধ্যমিক তথা জেএসসি ও প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা চালুর কারণে ছাত্র-শিক্ষক, অভিভাবকসহ সর্বস্তরের জনসাধারণের মাঝে যে আনন্দের সাড়া জেগেছে আগামীতেও তা ধরে রাখতে হবে। পূর্বে এই দুই স্তরের পরীক্ষা না থাকায় শিক্ষকদের কারো কাছে জবাবদিহি করতে হতো না। হালে এ পরীক্ষা চালুর ফলে সকলেই সচেতন। কেননা, স্কুলের ফলাফল খারাপ হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জবাব দিতে হয়। অতএব, এ প্রাথমিক পরীক্ষা সঠিক ও সূচারুভাবে পরিচালনার জন্য মাধ্যমিক পরীক্ষার ন্যায় একটি স্বতন্ত্র প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড থাকা অতীব জরুরি। যা প্রত্যেক জেলা হেডকোয়ার্টারে স্থাপন করতে হবে। কারণ লাখ লাখ ছাত্রছাত্রীর পরীক্ষা পরিচালনা করাই বড় কঠিন ব্যাপার। যেহেতু প্রতি বৃহত্তর জেলা হেডকোয়ার্টারের অধীনে কয়েকটি জেলা থাকা স্বাভাবিক।
উল্লেখ্য, কিছু দিন পূর্বে আমি শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়কে মন্ত্রণালয়ে বলেছিলাম, একাডেমিক ট্রান্সক্রিপটে পরীক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বর থাকলে কে কত নম্বর পেয়েছে তা তারা জানতে পারবে। এ বছর ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা থেকে প্রাপ্ত নম্বর চালু করায় মন্ত্রী মহোদয়কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। সাথে সাথে চলতি বছর থেকেই প্রতি বৃহত্তর জেলা হেডকোয়ার্টারে একটি প্রাথমিক স্বতন্ত্র শিক্ষা বোর্ড স্থাপনের জন্য মন্ত্রী মহোদয়ের নিকট বিশেষ আবেদন রইল।
মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, এম এ
সাবেক সিনিয়র শিক্ষক
সরকারি কারিগরি উচ্চবিদ্যালয়
বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী।

মৃৎশিল্প উন্নয়নে নজর দিন
মাটির তৈরি শিল্পকর্মকে আমরা বলি মাটির শিল্প বা মৃৎশিল্প। তবে সব মাটি দিয়ে যে এ কাজ হয় তা নয়; বরং এ কাজে পরিষ্কার এঁটেল মাটির প্রয়োজন হয়।
এঁটেল মাটি বেশ আঠালো। দোআঁশ মাটি তেমন আঠালো নয়। আর বেলে মাটি তো ঝরঝরে- তাই এগুলো দিয়ে মাটির শিল্প হয় না। আবার এঁটেল মাটি হলেই যে তা দিয়ে শিল্প গড়া যাবে তাও নয়। এর জন্য অনেক যতœ আর শ্রম দরকার। দরকার হাতের নৈপুণ্য ও কারিগরি জ্ঞান। তবে কুমারদের কাছে এসব খুব সহজ। ছোটবেলা আমরা দেখতাম- কুমার সম্প্রদায় কলস, হাঁড়ি, সরা, বাসনকোসন, পেয়ালা, সরাই ও পিঠে তৈরির নানা ছাঁচসহ প্রভৃতি জিনিস মাটি দিয়ে তৈরি করে হাটবাজারে বিক্রি করত। তখন এসব জিনিসের চাহিদাও ব্যাপক ছিল। তবে পরিতাপের বিষয়, আজকাল মাটির তৈরি জিনিস আগের মতো আর আমাদের চোখে পড়ে না। বাঙালির ঐতিহ্য মাটির শিল্প যেন হারিয়ে যাচ্ছে। তাই মাটির শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার স্বার্থে মাটির তৈরি জিনিসপত্র ব্যবহারে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। তাছাড়া সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা একান্ত জরুরি। বিষয়টি ভেবে দেখার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মো. মানিকউল্লাহ
মাজগ্রাম, বোতিল হাটখোলা, এনায়েতপুর, সিরাজগঞ্জ।

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি
শিক্ষাই জাতির মেরুদ-- এ কথাটি সর্বজন বিদিত। আর শিক্ষাকে উন্নত ও যুগোপযোগী করার জন্য সরকার যে চেষ্টা করছে তা এককথায় বাস্তবায়ন করছে দেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা, দেশের ৯৫ শতাংশ শিক্ষার্থী যাদের কাছে পড়ছে। কিন্তু তারা খুবই বঞ্চিত। একজন সরকারি স্কুলের শিক্ষকের সঙ্গে তাদের বেতনবৈষম্য দ্বিগুণেরও বেশি। আরও দুঃখজনক ব্যাপার হলো, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের শিক্ষা ভাতা নেই, তাঁদের চিকিৎসা ভাতা সরকারি শিক্ষকদের তুলনায় অনেক কম।
সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধগুলো হচ্ছে: বার্ষিক ৫ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট চালু করা ২. সরকারি শিক্ষকদের সমান চিকিৎসা ভাতা ৩. শিক্ষা ভাতা ও বৈশাখী ভাতা চালু ৪. শতভাগ উৎসব বোনাস প্রদান ৫. সম্মানজনক বাড়িভাড়া প্রদান ৬. অবসর গ্রহণের তিন মাসের মধ্যে কল্যাণ ট্রাস্ট এবং ছয় মাসের মধ্যে যাবতীয় পাওনা পরিশোধের ব্যবস্থা ৭ একনাগাড়ে ১০ বছর চাকরি করলে বা কেউ স্বেচ্ছায় অবসর নিলে বা দুর্ঘটনায় পতিত হলে সেই সব শিক্ষক-কর্মচারী বা তাঁদের পরিবারবর্গকে এককালীন নগদ অর্থ প্রদান।
মো. রাসেল কবির
ঠাকুরগাঁও।

সূত্রাপুর বাজার
সূত্রাপুর বাজার পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ও পুরনো একটি বাজার। বর্তমানে এই বাজারের অবস্থা খুবই খারাপ কিন্তু দেখার যেন কেউ নেই। এই বাজারের ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এটি ভেঙে নতুন করে নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। দীর্ঘ ছয় মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পরও সূত্রাপুর বাজারের নির্মাণকাজ কবে শুরু হবে তা বলা মুশকিল। ইতিমধ্যে সেখানে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের অস্থায়ীভাবে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন অনেকটা খোলা আকাশের নীচে বসছে সূত্রাপুর বাজার, রোদ-বৃষ্টির মধ্যে বাজারের কাজ করতে ক্রেতাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অবহেলার জন্য সূত্রাপুর বাজার এখন ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। এতে এলাকাবাসী ও ক্রেতারা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। মানুষ সূত্রাপুর বাজারকে দখলমুক্ত দেখতে চায়।
এ অবস্থায় জনস্বার্থে অবিলম্বে সূত্রাপুর বাজারের নির্মাণকাজ শুরু করার জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনকে অনুরোধ জানাই।
মাহবুব উদ্দিন চৌধুরী, ঢাকা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন