শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

রূপসা রেল সেতু কাজ বাকি ৫ শতাংশ

মোংলা বন্দরে আমদানি রফতানিতে আসবে নতুন গতি

ডিএম রেজা সোহাগ, খুলনা থেকে : | প্রকাশের সময় : ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০০ এএম

প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের দক্ষিণের অন্যতম মেগা প্রজেক্ট রূপসা রেল সেতুর নির্মাণ কাজ শেষের পথে। কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনায় আশা করা হচ্ছে চলতি বছর জুনেই দেশের দীর্ঘতম এই রেল সেতুর উপর দিয়ে চলবে ট্রেন। করোনার বিরুপ পরিস্থিতির মাঝেও একদিনের জন্য বন্ধ থাকেনি সেতু নির্মাণের কাজ। তাই উদ্বোধনের নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই এর কাজ শেষ হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সেতুটির কাজ আর ৫ শতাংশ বাকী রয়েছে, অর্থাৎ ৯৫ ভাগ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।
রূপসা রেল সেতু চালু হলে, দক্ষিণাঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। মোংলা বন্দর ও মোংলা ইপিজেডে আরো গতি সঞ্চারিত হবে। মোংলা বন্দরের সঙ্গে খুলনাসহ সমগ্র বাংলাদেশের রেল যোগাযোগ সুগম হবে। ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ ঘটবে। কম খরচে ভারত, নেপাল ও ভুটানে মালামাল পরিবহন সহজ হবে। বিভিন্ন স্থান থেকে দেশি-বিদেশি পর্যটকরাও সহজে সুন্দরবন ভ্রমণ করতে পারবেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, রাতদিন শ্রমিক ও প্রকৌশলীরা কাজ করছেন। ভারী ভারী অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হচ্ছে নির্মাণ কাজে। নির্মাণাধীন রেলসেতুর পশ্চিম পাড় (খুলনা শহর অংশ) বটিয়াঘাটা উপজেলার পুটিমারী ও পূর্ব পাড় খারাবাদ (মোংলা অংশ) এলাকায় চলছে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, খুলনা-মোংলা রেলপথ প্রকল্পটির কাজ তিনটি ভাগে বিভক্ত। এর একটি রূপসা নদীর উপর রেলসেতু, অপরটি রেললাইন এবং অন্যটি টেলিকমিউনিকেশন ও সিগন্যালিং সিস্টেম। প্রকল্পের আওতায় লুপ লাইনসহ রেলওয়ে ট্র্যাকের দৈর্ঘ্য ৮৬ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার। এরমধ্যে ৬৪ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ। রূপসা নদীর উপরে যুক্ত হচ্ছে ৫ দশমিক ১৩ কিলোমিটার রেলসেতু। এছাড়া ২১টি ছোট ব্রিজ ও ১১০টি কালভার্ট এবং খুলনার ফুলতলা থেকে মোংলা পর্যন্ত ৮টি স্টেশন নির্মাণকাজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এরমধ্যে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লারসেন অ্যান্ড টুব্রো রূপসা নদীর উপর রেলসেতুর নির্মাণ কাজ করছে। বাকি কাজ করছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ইরকন ইন্টারন্যাশনাল। জমি অধিগ্রহণ, রেললাইন ও রেলসেতু নির্মাণসহ সমগ্র প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয় ৩ হাজার ৮০১ কোটি ৬১ লাখ টাকা। এ রেলসেতুটি হবে দেশের দীর্ঘতম রেলসেতু। ২০১০ সালের ২১ ডিসেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) খুলনা-মোংলা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন করে। ২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর রূপসা রেলসেতুর পাইলিংয়ের কাজের উদ্বোধন করেন রেল মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন। সর্বশেষ গত বছর ২ অক্টোবর রেল সচিব মো. সেলিম রেজা প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করেন। ২০২২ এর জুনে রেল সেতু উদ্বোধনের আশাবাদ ওই সময় ব্যক্ত করেছিলেন তিনি।
সেতুর অগ্রগতি সম্পর্কে রূপসা রেলসেতুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশন ম্যানেজার সুব্রত জানা বলেন, রেলসেতুর ভায়াডাক্টের ৮৫৬টি পাইলের মধ্যে সবকয়টি, পাইল বেস-গ্রাউটিং ৮৫৬টির সবকয়টি, পাইল ক্যাপ ১৩৬টির মধ্যে সবকয়টি, পিয়ার ১৩৬টির মধ্যে সবকয়টি, স্প্যান ইর্যাকশান ১৩৬টির সবকয়টি ও ব্যাক সøাব ১৩৬টির মধ্যে সবকয়টি সম্পন্ন হয়েছে। এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে মূল সেতুর পাইল ৭২টির মধ্যে ৭০টি, পাইল ক্যাপ ৮টির মধ্যে ৩টি, বিয়ারিং ৩২টির মধ্যে ৮টি সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পের সার্বিক ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ৯৫ শতাংশ। চলতি বছরের জুনের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (7)
রোদেলা ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ২:১০ পিএম says : 0
রূপসা রেল সেতু চালু হলে, দক্ষিণাঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
Total Reply(0)
হুমায়ূন কবির ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ২:১০ পিএম says : 0
রূপসা রেল সেতু চালু হলে, মোংলা বন্দর ও মোংলা ইপিজেডে আরো গতি সঞ্চারিত হবে।
Total Reply(0)
গাজী ফজলুল করিম ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ২:১২ পিএম says : 0
খুবই ভালো খবর
Total Reply(0)
লিয়াকত আলী ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ২:১২ পিএম says : 0
ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ ঘটবে।
Total Reply(0)
ডালিম ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ২:১৩ পিএম says : 0
দ্রুত এই বাকি ৫ শতাংশ শেষ করুন
Total Reply(0)
কাওসার আহমেদ ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ২:১৪ পিএম says : 0
আমাদের দেশের সব প্রকল্প যদি সময় মত শেষ হতো তাহলে দেশ আরও উন্নত হয়ে যেতো
Total Reply(0)
Md.Robiul Islam ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:৫৭ পিএম says : 0
Very good job, go-ahead, Bangladesh
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন