সেনবাগ উপজেলার ২নং কেশারপাড় ইউনিয়নের কেশারপাড় মধ্যপাড়া আসলাম মৌলভী বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান থেকে মৃত্যুর ৫ মাস ১৬দিন পর মো.ইউসুফ ওরফে রাফি (২০) নামের এক যুবকের লাশ পূনঃময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করেছে সেনবাগ থানা পুলিশ।
বুধবার সেনবাগ উপজেলা সহকারী কমিশার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট তাজমিন আলম তুলির উপস্থিতিতে পুলিশ লাশটি কবর থেকে উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
মামলার এজাহার ও রাফির পরিবার সূত্রে জানাগছে, রাফি বিগত ২০২১ সালের ২৭ মে রাতে প্রতিবেশী নাছির উদ্দিনের ছেলে ইমরান (২১) মোবাইলফোনে রাফিকে বাড়ি থেকে ডেকে নেয়। এরপর ২৮মে রাত অনুমানিক আড়াইটার সময় অভিযুক্ত ইমরান রাফির বাড়িতে এসে জানায় রাফি তাদের বাড়িতে ফ্যানের সঙ্গে গামছা পেছিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্ঠা করেছে। পরে তারা রাফিকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সেখান থেকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে এবং শেষে কুমিল্লার মুন হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিটে ৪দিন লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। এরপর আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ১ জুন থেকে ৬জুন ঢাকার মোহাম্মদপুর সিটি হাসপাতাল আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানে তার কোন উন্নতি না হওয়ায় তাকে ৬জুন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । সেখানে দীর্ঘ ৬৬দিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ১আগষ্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাফির মৃত্যু হয়।
এরআগে রাফির ভাই মাসুদুর রহমান তার ভাইকে পরিকল্পিত ভাবে রাফিকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলে বিগত ২১জুন প্রতিবেশী ইমরান (২১) তার মা বিবি মরিয়ম প্রকাশ রুনা (৪০) সহ অজ্ঞাত আরো ২জনকে আসামী করে সেনবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন।
মৃত্যুর পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাফির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হলেও রাফির পরিবার ওই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রত্যাখান করে পূর্ন ময়না তদন্তে আবেদন করলে বুধবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কবর থেকে রাফির লাশ উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করা হয়। লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে এলাকার শতশত নারী-পূরুষ ওই স্থানে ভিড় জমায়। এ সময় পরিবারের সদস্যদের আহাজারিতে এক হৃদয় বিদায়ক দৃশ্যের অবতানা হয়। এসময় সকলে বিষয়টি তদন্ত পূর্বক দোষীদের আইনে আওয়তায় আনার জোর দাবী জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন