শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

বিনম্র শ্রদ্ধায় শহীদদের স্মরণ

সারা দেশের শহীদ মিনারে মানুষের ঢল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৪ এএম

’৫২ সালে যাদের আত্মত্যাগে বাঙালি পেয়েছে মাতৃভাষার অধিকার, সেই ভাষা শহীদদের বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করছে বাংলাদেশ। ভাষা শহীদদের স্মরণে সারা দেশে দিবসটি পালিত হয়েছে। বিশ্বের দেশে দেশে দিবসটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়। গতকাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দলমত নির্বিশেষে হাজারো মানুষ শ্রদ্ধার ফুলে ভরে তোলেন শহীদ মিনার। যারা প্রাণের বিনিময়ে মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার নিশ্চিত করেছেন, বিনম্র শ্রদ্ধায় তাদের স্মরণ করে পুরো দেশ। পোশাকে শোকের কালো, শহীদের বুকের খুনে রাঙা ফুল হাতে হাতে; শ্রদ্ধায় নাঙ্গা পায়ে প্রতিটি পদক্ষেপে ছিল বাংলা ভাষার অহঙ্কার। একুশ আলোর ভোরে সব পথ হেঁটে গিয়েছিল শহীদ মিনারে। শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার সময় প্রায় সবার কণ্ঠে উচ্চারিত হয়- ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি।’

বৈশ্বিক করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ সারা দেশের শহীদ মিনারগুলোতে জনসমাগম এড়াতে এবারও স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ ছিল। ব্যক্তি পর্যায়ে ২ জন এবং সাংগঠনিক পর্যায়ে ৫ জনের বেশি আসা যাবে না বলে নির্দেশনা দেয়া হয়। কিন্তু সংগঠন পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৫ জনের বেশি মানুষও এসেছেন। ব্যক্তি পর্যায়েও মানা হয়নি ২ জনের মধ্যে সীমিত থাকার বিধি। করোনা টিকার সনদ দেখার কোনও প্রচেষ্টা দেখা যায়নি। তবে অনেকে মধ্যে সচেতনতা দেখা গেছে, মাস্ক পরে, শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখেই ফুল দিয়েছেন।

‘শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উদযাপনের লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করে সরকার। দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় কর্মসূচির সাথে সঙ্গতি রেখে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সকল স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলো নানা কর্মসূচি পালন করেছে।

শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের পক্ষে ফুল দেন তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম আর প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। মধ্যরাতে মানুষের উপস্থিতি না থাকলেও গতকাল সকাল থেকে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে মানুষের উপস্থিতি। প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর শহীদ মিনার সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এক সময় মানুষের ঢল নামে।

১৯৫২ সালের এ দিনে বাঙালির রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল ঢাকার রাজপথ; ওই রক্তের দামে এসেছিল বাংলার স্বীকৃতি আর তার সিঁড়ি বেয়ে অর্জিত হয় ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা। একুশে ফেব্রুয়ারি কেবল ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আত্মত্যাগের দিন নয়; বাঙালির জাতিসত্তা, স্বকীয়তা আর সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনের রক্তে লেখা স্মারক।
জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর পক্ষে শ্রদ্ধা জানান সংসদ সচিবালয়ের সার্জেন্ট আ্যট আর্মস কমডোর মিয়া মোহাম্মদ নাইম রহমান। ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার পক্ষে সহকারী সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস গোলাম শাহরিয়ার তালুকদার পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এরপর তিন বাহিনীর প্রধানদের মধ্যে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদের পক্ষে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ শাহীন ইকবাল এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান এরপর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের নেতারা ফুল দেন। দলের পক্ষে শ্রদ্ধা জানান সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।
জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির পক্ষে দলের মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। ১৪ দলের পক্ষে ডা. দীপু মনি ও হাসানুল হক ইনু ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষে আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান শ্রদ্ধা জানান ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, ঢাকা সিটি করপোরেশনের দুই মেয়রের পক্ষে তাদের প্রতিনিধিরা শ্রদ্ধা জানান। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম, অ্যাটর্নি জেনারেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, র‌্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়, ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসেন শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রথম প্রহরে।

মূলত শহীদ মিনারে ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে সকালে নামে মানুষের ঢল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষের সারি আরো দীর্ঘ হয়। ফুল আর ছোট ছোট পতাকা হাতে লাইন বেঁধে অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায় বিভিন্ন বয়সের, সব শ্রেণি পেশার মানুষকে। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ তাদের সন্তানদের নিয়ে শহীদ মিনারে আসেন ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। ফুলে ফুলে ছেয়ে যায় শহীদ বেদী।

উপনিবেশক শাসনের অবসানের পর পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে ফুঁসে ওঠে বাঙালি; ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বুকের রক্ত ঢেলে তারা ছিনিয়ে আনে মায়ের ভাষার অধিকার। মুলত রাষ্ট্রভাষা কী হবে সেই বিতর্ক শুরু হয়েছিল ১৯৪৭ সালের আগস্টে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠানের আগেই। আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাব করেন। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ তখন দৈনিক আজাদে ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা সমস্যা’ শিরোনামে একটি নিবন্ধ লিখে এর তীব্র বিরোধিতা করেন। সে বছরই পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর প্রথম মুদ্রা, ডাকটিকেট, ট্রেনের টিকিট, পোস্টকার্ড থেকে বাংলাকে বাদ দিয়ে উর্দু ও ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করা হয়। পাকিস্তান পাবলিক সার্ভিস কমিশনের বাঙালি কর্মকর্তারা তার প্রতিবাদ করেন। মাতৃভাষার বাংলার মর্যাদা রক্ষার দাবিতে একাট্টা হতে শুরু করেন ছাত্র-শিক্ষক-বুদ্ধিজীবীরা। ১৯৪৮ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে ছাত্রলীগ, তমদ্দুন মজলিস এবং অন্যান্য দলের সমন্বয়ে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। এর মধ্যেই ১৯৫২ সালের জানুয়ারিতে ঢাকায় এসে খাজা নাজিমুদ্দিন পল্টনের সমাবেশে জিন্নাহর কথার পুনরাবৃত্তি করেন। এরপর ভাষার মর্যাদা রক্ষায় বাঙালির প্রতিবাদ রূপ নেয় অগ্নিস্ফূলিঙ্গে। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ছিল পূর্ববাংলা ব্যবস্থাপক পরিষদের বাজেট অধিবেশন। সেজন্যই সেদিন ধর্মঘট ডাকা হয়। সে ধর্মঘট প্রতিহত করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও তার আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। সেই ১৪৪ ধারা ভেঙেই সেদিন মিছিল নিয়ে এগিয়ে যায় বাংলার দামাল ছেলেরা। পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর নির্দেশে মিছিলের ওপর পুলিশের গুলি চলে, শহীদ হন রফিক, শফিক, জব্বার, বরকত, শফিউদ্দীন, সালামসহ আরও অনেকে। এর দুই বছর পর ১৯৫৪ সালের ৭ মে পাকিস্তানের পার্লামেন্ট বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকার করে প্রস্তাব গ্রহণ করে। সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি কার্যকর হতে লেগেছিল আরও দুই বছর। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনেই তৈরি হয়েছিল বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের পথ। যে পথ ধরে বাঙালি এগিয়ে যায় স্বাধীনতার সংগ্রামে, পাকিস্তান থেকে আলাদা রাষ্ট্র হয়ে একাত্তরে আত্মপ্রকাশ ঘটে বাংলাদেশের।

১৯৯৮ সালে কানাডা প্রবাসী রফিকুল ইসলাম এবং আব্দুস সালাম একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে উদযাপনের জন্য জাতিসংঘে আবেদন করেন। পরের বছর ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে ১৮৮টি দেশ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রস্তাবে সমর্থন জানায়। পরে ২০১০ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৫তম অধিবেশনে সিদ্ধান্ত হয়, প্রতি বছর একুশে ফেব্রুয়ারি পালিত হয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে দোয়া মাহফিল : মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে গতকাল সোমবার সকাল ১১টায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে সংক্ষিপ্ত আলোচনা কোরআনখানি দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভাপতিত্ব করেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মো. মুশফিকুর রহমান (অতিরিক্ত সচিব)। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান। এর আগে সকাল ৮টায় আজিমপুর কবরস্থানে ভাষা শহীদদের রূহের মাগফিরাত কামনায় কোরআনখানি দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

জমিয়াতুল মোদার্রেছীন বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চল : জমিয়াতুল মোদার্রেছীন বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চলের সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা আবু ইউসুফ মৃধা বলেছেন, এখনো অফিস আদালতে বিদেশি ভাষার চর্চা অনেক বেশি। এই ধরনের প্রবণতা থেকে বেরিয়ে সর্বত্র বাংলা ভাষার চর্চা বৃদ্ধি করতে হবে। গতকাল সোমবার ফরিদপুরের ভাংগাস্থ ‘দক্ষিণ বঙ্গের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইকামাতেদ্বীন মডেল কামিল মাদরাসায় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রিন্সিপাল মাওলানা আবু ইউসুফ মৃধা এসব কথা বলেন। উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গভর্নিং বডির সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্যে রাখেন, সদস্য মো. আলী হোসেন শাহেদী, মো. শাহ সিকান্দার সহকারী অধ্যাপক (আইসিটি) মো. কামাল হোসেন, প্রভাষক (পদার্থ বিজ্ঞান) মো. তরিকুল্লাহ এবং প্রভাষক (বাংলা) মো. কুদরাতুর রহমান।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস : গতকাল সোমবার সকালে পুরানা পল্টনস্থ ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরীর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুফতি নূর মোহাম্মদ আজিজীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল মুমিনের পরিচালনায় ভাষা শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ। এতে আজিজুল ইসলাম হেলাল ও মাওলানা মুসাসহ আরো নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ : গতকাল সোমবার বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। নগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য রাখেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, আব্দুল আউয়াল মজুমদার, ডা শহীদুল ইসলাম, কেএম শরীয়াতুল্লাহ, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সাংগঠনিক এইচ এম রফিকুল ইসলাম।
প্রিন্সিপাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী : আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর গুলশানের একটি অডিটোরিয়ামে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (আইএবি) ঢাকা মহানগর উত্তর কর্তৃক আয়োজিত ‘সর্বত্র বাংলা ভাষা চর্চা ও সমৃদ্ধকরণে রাষ্ট্রের করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ এর সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রেসিডিয়ামের সদস্য জাতীয় শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, প্রিন্সিপাল এম এ কালাম, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার মুরাদ হোসেন, মুফতী ফরিদুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন পরশ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (8)
Arosh Khan ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:৪৫ এএম says : 0
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা। প্রমিত বাংলার পাশাপাশি প্রতিটি আঞ্চলিক ভাষাভাষীর মানুষেরা নিজ নিজ ভাষায় কথা বলায় সাচ্ছন্দ্যবোধ করুক
Total Reply(0)
পিংকি আক্তার প্রিয়া ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:৪৮ এএম says : 0
একুশ আমার অহংকার, একুশ আমার বিশ্বাস
Total Reply(0)
নুরজাহান ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:৪৮ এএম says : 0
আল্লাহ সকল শহীদদের জান্নাত নসিব করুক
Total Reply(0)
এম. ইসলাম উদ্দিন ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:৫০ এএম says : 0
মৃত্যুঞ্জয়ী ভাষা শহীদদের প্রতি অফুরন্ত ভালোবাসা ও অতল, অবনত, বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই রাব্বে কারীম যেন, তাদের মর্যাদাকে বুলন্দ করেন। আমিন
Total Reply(0)
কাওসার আহমেদ ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:৫৯ এএম says : 0
১৯৫২ সালের ভাষা শহীদদের জানাই অসীম শ্রদ্ধা। সবাইকে মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা।
Total Reply(0)
জাফর ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:৫৯ এএম says : 0
আমার মায়ের ভাষা বিকৃত নয় আর। সবাই বাংলিশ বাদ দেই। নতুন প্রজন্মকে প্রকৃতি ভাষার উচ্চারনে শিক্ষা দেই।
Total Reply(0)
Salauddin Sohel ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১:০০ এএম says : 0
মাতৃভাষার মর্যাদা শুধু দিবস পালনের মাঝেই সীমাবদ্ধ না হোক। আমাদের সকলের ভাষার প্রয়োগ হোক— শুদ্ধ, পরিশীলিত ও শিষ্টাচার সমৃদ্ধ।
Total Reply(0)
Reduanul Islam ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১:০০ এএম says : 0
আসুন ভাষায় বিকৃতি সবাই মিলে বর্জন করি।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন