ভাষার মাসে শহীদ মিনার পেয়ে খুশি মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। কুমিল্লা নগরীর চকবাজার এলাকায় অবস্থিত ইসলামিয়া আলিয়া কামিল মাদরাসায় স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ এবং এটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর ও পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম।
একুশের প্রথম প্রহরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর মধ্যদিয়ে শহীদ মিনার উদ্বোধন করা হয়। এসময় মাদরাসা গর্ভনিং কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর বলেন, মাদরাসা শিক্ষার্থীদের মাঝে দেশপ্রেম ছড়িয়ে দিতে ও ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস জানাতে এ শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ৫৮ বছর পর শহীদ মিনার পেলো শিক্ষার্থীরা। মহান একুশে ফেব্রæয়ারি রাতের প্রথম প্রহরে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পর গর্ভিনিং কমিটির পক্ষে সহসভাপতি সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ ওমর ফারুক, মাদরাসার প্রিন্সিপাল ও জমিয়াতুল মোদার্রেছীন কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল মতিন, সদস্য বাবর হোসেনসহ কমিটির অন্যান্যরা শহীদ মিনারে ফুলে শ্রদ্ধা জানান।
গর্ভিনিং কমিটির সহসভাপতি আলহাজ ওমর ফারুক বলেন, মাদরাসার ইতিহাসে নির্মিত এটি প্রথম শহীদ মিনার। মাদরাসা শিক্ষার্থীরা ইনশাল্লাহ শহীদ মিনারের মর্যাদা রক্ষায় সর্বদা সচেষ্ট থাকবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। প্রিন্সিপাল আবদুল মতিন বলেন, গর্ভনিং কমিটির উদ্যোগে মাদরাসার নিজস্ব তহবিল থেকে শহীদ মিনারটি নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমান সরকার মাদরাসা শিক্ষার প্রতি অনেক দায়িত্বশীল। আমাদের শিক্ষার্থীরা ইসলামি মূল্যবোধ অর্জনের পাশাপাশি বাংলা ভাষার প্রতি তাদের মমত্ববোধ, ভাষা সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধাশীলতা সৃষ্টি হবে এবং দেশপ্রেমে তারা আরও উদ্বুব্ধ হয়ে ওঠবে। একুশের রাতেই বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অনেক অভিভাবকও কুমিল্লা ইসলামিয়া আলিয়া মাদরাসায় নবনির্মিত শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধা জানায়। তার আগে শহীদ মিনারের সামনে সমবেত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস নিয়ে শিক্ষকরা আলোচনা করেন। পরে ভাষা শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন